Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় শিক্ষকদের অবহেলার বলি সাচার ডিগ্রি কলেজের ৮৪ শিক্ষার্থী
Sachar-Degree-college
সাচার ডিগ্রি কলেজ

কচুয়ায় শিক্ষকদের অবহেলার বলি সাচার ডিগ্রি কলেজের ৮৪ শিক্ষার্থী

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার বলি হয়ে ৮৪ শিক্ষার্থী বিএ/বিএসএস শাখায় ভর্তি হতে পারেনি।

ফলে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ০৩ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে কচুয়া উপজেলার সাচার ডিগ্রি কলেজে বিএ/বিএসএস এর প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ১শ ৩৪জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে।

এতে ৬০জন শিক্ষার্থীর নামের অনুমোদন আসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাকি ৮৪জন শিক্ষার্থীদের নাম না আসায় শিক্ষার্থীরা ভেঙ্গে পড়ে। ফলে তাদের শিক্ষা জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যায় এবং এর মাশুল গুনতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিএ/বিএসএস ভর্তির সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে নাম ঠিকানা পূরণ করে। কিন্তু কি কারণে তাদের নাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন হয়নি এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নানান প্রশ্ন ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ভর্তিকালিন সময় ওই কলেজের ৫জন শিক্ষক এ ভর্তি কাজে দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে। এরা হচ্ছেন, সমাজ কর্ম বিভাগের প্রভাষক চন্দনা সাহা, আহবায়ক ও সদস্য হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সমিরন চন্দ্র ঘোষ, বাংলা প্রভাষক জহিরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জেসমিন সুলতানা, আইসিটি শিক্ষক বিপুল কান্তি মালা।

তবে এদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের শিক্ষক বিপুল কান্তি মালা শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ অনলাইন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আমিন ৮৪জন শিক্ষার্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে আমরা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি, স্থানীয় এমপি মহোদয়কে অবগত করেছি এবং তাহার মাধ্যমে সহসাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে নাম বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি।’

তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবহেলা রয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভর্তির সময়সীমা খুবই কম ছিল। বিশেষ করে শেষ দিন শিক্ষার্থীরা অনেকেই অনলাইনে আবেদন করায় সার্ভার ও বিদ্যুৎ জনিত ত্রæটির কারণে অনেক শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকদেরকেই এ ভুলের জন্য দায়ী করেন, বিষয়টি দ্রæত সমাধান করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার দাবি করেন।

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু

Leave a Reply