কচুয়ার বজরীখোলা বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন

কচুয়া উপজেলার বজরীখোলা গ্রামের মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন সুজ্জাত আলী বেপারী নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জন চলছে।

২০ এপ্রিল বুধবার ভোর রাতে বৃদ্ধ সুজাত আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা গেছেন।

পরবর্তীতে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরন করে এবং ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতে তার লাশ বজরীখোলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান দাফন করা হয়।

বৃদ্ধ সুজ্জাত আলী বেপারীর ছেলে নবীর হোসেন,মেয়ে জোসনা বেগম ও মনোয়ারা বেগম জানান, একই বাড়ির প্রতিবেশী দুধু মিয়ার সাথে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পত্তিগত বিরোধ চলছে। ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক বাড়ির সীমানা দখল করতে চাইলে তার বৃদ্ধ বাবা সুজ্জাত আলী বেপারী বাধা দিলে প্রতিপক্ষ দুধু মিয়া মাটির ঢিলা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা দাউদকান্দির মালিগাঁও,সাচার,কুমিল্লা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান তিনি। তার বাবার মৃত্যুর জন্য প্রতিপক্ষ দুধু মিয়া গংদের দায়ী করেন তারা। নবীর হোসেন জানান,আমাদের জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষ দুধু মিয়া গংদের সাথে বিজ্ঞ চাঁদপুরের আদালতে মামলা চলে আসছে। প্রতিপক্ষরা এলাকায় দেন দরবার না মেনে বারবার আমাদের উপর অন্যায় ভাবে প্রভাব খাটিয়ে হামলা-মামলা করেছে এবং আমাদের ঘরের সামনে জোরপূর্বক টিনের ঘর নির্মান করে রেখেছে।

এব্যাপারে বক্তব্য জানতে প্রতিপক্ষ দুধু মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে না পাওয়ায় তার স্ত্রী মাজেদা বেগম বলেন, বৃদ্ধ সুজ্জাত আলী বেপারীকে ইটের ঢিলা নয়, মাটির ধুলা দেয়া হয়েছে এবং শুনেছি স্টোক করে মারা গেছেন তিনি।

মাজেদা বেগম আরো বলেন, বৃদ্ধ সুজ্জাত আলী বেপারীর মৃত্যু নিয়ে উল্টো হয়রানির চেষ্টা করছে। আমাদের জায়গায় আমরা ঘর নির্মাণ করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, উভয়ের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছি এবং পোস্টমার্ডাম রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কচুয়া প্রতিনিধি, ২১ এপ্রিল ২০২২

Share