Home / সারাদেশ / কক্সবাজারে অপহৃত মোস্তাকের সন্ধান মেলেনি
কক্সবাজারে অপহৃত মোস্তাকের সন্ধান মেলেনি

কক্সবাজারে অপহৃত মোস্তাকের সন্ধান মেলেনি

স. ম. ইকবাল বাহার চৌধুরী, কক্সবাজার করেসপন্ডেন্ট | আপডেট: ০৩:২৩ অপরাহ্ণ, ১৪ আগস্ট ২০১৫, শুক্রবার

গত তিন দিন আগে রহস্যজনক অপহরণ হওয়া কক্সবাজরের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যানের পুত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ও মানবপাচারকারী মোস্তাকের এখনো সন্ধান মেলেনি।

প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে করা হয়েছে মামলাও। এরপরও অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না মোস্তাক আহমেদের। টেকনাফ থানায় পিতার দায়ের করা আবেদনে মোস্তাকের বিরুদ্ধে কেনো অভিযোগ ও মামলা না থাকার কথা বলা হলেও রাষ্ট্রীয় তালিকায় ইয়াবা-মানবপাচারকারী হিসেবে মোস্তাকের নাম থাকায় তার অপহরণ নিয়ে হিসেব মিলাতে পারছেন না রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলও।

মোস্তাকের বাবার দাবি অনুসারে তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোক পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসন পক্ষ থেকে এ দাবি স্বীকার করা হচ্ছেনা। আবার তাকে প্রশাসন ছাড়া কোনে দুর্বৃত্তচক্র নিয়ে গেছে কি-না তাও বলতে পারছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। সত্যি যদি প্রশাসন না নিয়ে থাকে তাহলে মোস্তাকের রহস্যজনক অপহরণ চরম উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে। এর কারণে আইনশৃংখলার অবনতি নিয়ে একটি বিশাল প্রশ্ন সামনে চলে আসে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহাম্মদের তার ছেলে খুন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন থানায় জমা দেয়া এজাহারে। এটি প্রকাশ পাবার পর সাধারণ লোকজনের মাঝে উৎকন্ঠা বিারজ করছে। কারণ, একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা লোকের ছেলেকে যদি সবার সামনে থেকে এভাবে তুলে নিয়ে গায়েব করা যায় তবে সাধারণ লোকজনের নিরাপত্তা কী? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মাঝে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ টেকনাফ থানায় করা মামলার এজাহারে বলেছেন, ১১ আগস্ট রাত ৮টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হচ্ছিল। এখানে যোগ দিতে বাড়ির সামনে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে এসেছিলেন মোস্তাক। এমন সময় একটি জিপ ও মাইক্রেতে করে ৭-৮ জন সশস্ত্র লোক সাধারণ পোশাকে ছাত্রলীগের অফিস থেকে মোস্তাকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে।
উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা অস্ত্রধারীদের পরিচয় জানতে চাইলে প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেয় তারা। ঘটনা শোনার পর পরই তিনি বিষয়টি স্থানীয় এমপি আবদুর রহমান বদি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব-৭ কক্সবাজার অফিস ও টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জসহ প্রশাসনের সকল স্থরে তৎক্ষনাত জানিয়ে রাখেন।

কিন্তু প্রশাসনের কোনো স্তর থেকেই ছেলের অবস্থান বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করাতে না পারায় আশংকা করেন প্রশাসন যদি মোস্তাককে না নিয়ে থাকে তবে যারা নিয়েছেন তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে তাকে খুন করে লাশ গুম করতে পারেন। তাই তাকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সর্বস্থরের সহযোগিতা কামনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আতাউর রহমান খোন্দকার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমরা গুরুত্ব সহকারে মোস্তাক কে খোঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আশা করি সহসাই সফল হবো।

 

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫