Home / চাঁদপুর / আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে
ilish Jele
ফাইল ছবি

আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে

দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর ১লা এপ্রিল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা কিন্তু আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না তাদের জালে।

ইলিশের চেয়ে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে পাঙাশের পোনা, পোঁয়া, তাপসি মাছসহ দেশিয় প্রজাতির ছোট ছোট মাছ। আর এসব মাছ নদীর পাড়ে বসেই বিক্রি করে দিচ্ছে জেলেরা দেশের সর্ব বৃহৎ ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের মাছঘাট

বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ব্যাবসায়ীরা প্রায় সকলেই অলস সময় পার করছেন। কারো গদিঘরের সামনেই ইলিশ নেই, শুধু কিছু পোঁয়া মাছ আর পাঙ্গাশের পোনা নিয়ে বসে আছে।

দু’একটি গদিঘরে সল্প পরিমান ইলিশ থাকলেও তা আকারে একেবারেই ছোট।

সদর উপজেলার আনন্দবাজার, বহরিয়া, হরিনাঘাট ও মেঘনা মোহনায় গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, জেলেরা ইলিশ শিকারে নদীতে নেমেছেন দলে দলে । আবার কিছু কিছু জেলেরা ইলিশ ধরে আড়তে অথবা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছে ইলিশ ধরা পড়ছে কেমন জানতে চাইলে তারা জানান, নদীতে ইলিশ ধরা পরছে না। দু’একটা ধরা পড়লেও সেগুলো আকরে অনেক ছোট। আশা ছাড়ছেন না তারা কারণ সবেত মাত্র ইলিশ ধরার মৌসুম শুরু হয়েছে। আরো কিছুদিন পর ইলিশ ধরা পড়তে পারে।

রাজরাজেশ^রের জেলে জয়নাল প্রধান জানায়, ‘নদীতে জাল ফেললে তেমন আশানুরুপ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তার একটি ইলিশ ধরার নৌকায় ১০ থেকে ১২ জন জেলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্ধা-মেঘনা দুটি নদীতে দুবার করে জাল ফেলে ২শ’ থেকে আড়াইশ গ্রামের মাত্র ১৮ কেজি মাছ ধারা পড়ছে। বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশ উঠেছে ৪ থেকে ৫ টা। তবে পোঁয়া মাছ জালে ধরা পড়ছে বেশি।’

হরিনা এলাকার জেলে জানান, ইলিশ ধরা পড়বে তবে আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। এখন মাত্র ইলিশের মৌসুম শুরু, শুরুর দিকে এমনই হয়। দিন যতই যাবে ইলিশ ধরা পড়বে বেশি।

চাঁদপুর মৎস বনিক সমিতির সভাপতি ও ইলিশ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (কালু) ভূঁইয়া জানান, দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের জালে ইলিশের সাথে অন্যান্য মাছ পাওয়া যাচ্ছে বেশি। তবে এখনো ইলিশ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না।

তার মতে, সামনে ইলিশ বেশি পাওয়া যেতে পারে। কারন ইলিশের মৌসুম এখনো শুরু হয় নাই।

তিনি আরো জানান, নদীতে মাছ ধরার প্রথম দিনে আসা ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৫শ’ থেকে ১৭শ’টাকায়, ৮শ’থেকে ৯শ’ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১শ’টাকায়, ৬শ’থেকে ৫শ’ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা কেজি দরে।

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘এ বছর জাটকা রক্ষা কর্মসূচি অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেকটা সফল হয়েছে। দুই মাস বন্ধ থাকার পর মাছ ধরার প্রথম দিক দেখে তেমন একটা ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না। তবে নদীর পানি যতো বাড়বে ততো ইলিশ ধরা পড়বে বেশি।’

তিনি আশা করছেন কিছুদিনের মধ্যেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করবে এর সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৫৯ পিএম, ১০ মে ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply