আরিফাইল শাহী জামে মসজিদ

১৬৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার আরিফাইল গ্রামে নান্দনিক শৈলীতে নির্মিত হয় আরিফাইল শাহী মসজিদ। অপূর্ব নির্মাণশৈলীর মসজিদটি অনেকটা তাজমহলের মতো দেখতে। মসজিদের ছাদের ওপরে থাকা গম্বুজ এবং এর নান্দনিক কারুকার্য জানান দেয় মুঘল ঐতিহ্যের।

প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের তালিকাভুক্ত মসজিদটির প্রধান ফটক থেকে শুরু করে মসজিদের ভেতরের বিভিন্ন অংশের কারুকার্য প্রাচীন উৎকর্ষতার জানান দেয়। মসজিদটি লম্বায় ৮০ ফুট ও প্রস্থে ৩০ ফুট। মসজিদের চার কোনায় রয়েছে চারটি বুরুজ ও মোট তিনটি গম্বুজ। গম্বুজগুলোতে পদ্মফুল আঁকা।

মসজিদের ছাদ তিনটি বড় গম্বুজ দ্বারা আবৃত। চুন, সুরকি আর ইটের গাঁথুনির সঙ্গে মসজিদের ভেতরে ও বাইরের অপরূপ কারুকার্য এর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মসজিদটির পাঁচটি প্রবেশপথ,যার তিনটি পূর্বদিকে এবং বাকি দুটি যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে। এ ছাড়া মসজিদটির উত্তর পাশেই বিশালাকৃতির একটি দিঘি রয়েছে। যার নাম সাগর দিঘি।

জনশ্রুতি আছে, ১৬৬২ সালে দরবেশ শাহ আরিফ এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট। এর চারদিকে চারটি বুরুজ ও তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলোতে পদ্মফুল অঙ্কিত রয়েছে। আরেকটি জনশ্রুতি রয়েছে,সাগর দিঘি থেকে পানি পান করে আগত ব্যক্তিরা রোগমুক্ত হতেন।

এ ছাড়াও মসজিদটির দক্ষিণে রয়েছে দুটি কবর। জোড়া কবর নিয়েও রয়েছে অনেক কল্পকাহিনী। কবর দুটিতেও মুঘল স্থাপত্যকলা ও অপূর্ব নির্মাণশৈলীর প্রভাব বিদ্যমান। এগুলো কার মাজার ছিল তার প্রকৃত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিদিন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা এসে মসজিদে নামাজ আদায় ও বিভিন্ন মানত করেন। অপূর্ব সুন্দর মসজিদটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধীন হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণে তৎপরতা দেখা যায় না।

স্থানীয়দের তত্ত্বাবধানই এখনও মসজিদটির দেখভাল হয়। সেসঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মসজিদ দেখতে আসা দর্শনার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। স্থানীয়দের দাবি, সরকারি উদ্যোগে মসজিদটি সংস্কার হোক, সংরক্ষণ হোক।

মেহেদী নূর,
অক্টোবর ২৬,২০২৩

Share