আছিয়া বেগম এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবে?

আছিয়া বেগমের বিয়ে হয়েছিল প্রায় বিশ বছর আগে। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে একের পর এক তিন সন্তান। বড় মেয়েটির নাম রূপালী (১৮), বড় ছেলে আনোয়ার (১৬), ছোট ছেলে সাইফুল (১০) এখন মায়ের সাথে খেয়ে না খেয়ে অভুক্ত অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছে।

আছিয়া বেগমের স্বামী চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া এলাকার উত্তর চাঁদপুরের অহিদ মিজি। তিনি বর্তমানে তিনটি সন্তানকে ও স্ত্রীকে রেখে অপরের স্ত্রী নারগিস বেগমকে নিয়ে ঘর বেঁধেছেন শহরের কাঁচ্চা কলোনীতে। ওই মহিলাকে নিয়ে তিনি সেখানেই থাকেন, প্রথম স্ত্রী আছিয়া ও তার সন্তানদের খোঁজ-খবর নেন না। পরিবারের ভরণপোষণও দেন না। ফলে তিন সন্তান নিয়ে আছিয়া বেগম এখন মরতে মরতে কোনো রকম বেঁচে আছেন।

এ প্রতিবেদকের কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার তিনটি সন্তানকে নিয়ে কাচ্চা কলোনীর নারগিস নামের এক মহিলাকে নিয়ে আমার স্বামী থাকেন, আমাদের কোনো প্রকার খোঁজ খবর নেন না। বরং ক’দিন আগে নারগিস বেগম সহ বকুলতলার বাসায় এসে আমার বাসার সব আসবাবপত্র নিয়ে যেতে চাইলে আমি বাধা দিলে ওই নারগিসসহ আমার স্বামী আমার ওপর নির্যাতন চালায় এবং আমাকে কিলঘুশি ও লাথি মারলে আমি দেয়ালে পড়ে আমার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হই।

এ ব্যাপারে আছিয়ার স্বামী অহিদ মিজির মুঠোফোনে (০১৯৮৬৪১০৪৮৩) কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে তার কন্যা সন্তান রূপালী জানায়, আমার বাবা প্রায় পাঁচ বছর ধরে ওই মহিলা (নারগিস)কে নিয়ে কাচ্চা কলোনীতে অবৈধভাবে একত্রে বসবাস করছেন। আমাদের কোনো খোঁজ খবর নেননি। আমরা এখন যারপরনাই দুঃখকষ্টে অপরের দয়ায় বসবাস করছি। আমার পিতার মতো নিষ্ঠুর আচরণ আমি আর কাউকে করতে দেখিনি। বর্তমানে আমরা এতোটাই অসহায় যে, আল্লাহ ছাড়া আর দুনিয়াতে আমাদের কেউ নেই।

মিজানুর রহমান রানা[/author]

||আপডেট: ০৫:০২  অপরাহ্ন, ০৩ এপ্রিল ২০১৬, রোববার

চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর