Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় নৌকার সম্ভাবনা : বিএনপি’র এজেন্ট নিয়োগে অনিশ্চিয়তা
কচুয়ায় নৌকার সম্ভাবনা : বিএনপি’র এজেন্ট নিয়োগে অনিশ্চিয়তা

কচুয়ায় নৌকার সম্ভাবনা : বিএনপি’র এজেন্ট নিয়োগে অনিশ্চিয়তা

চাঁদপুরের কচুয়ায় নৌকার সম্ভাবনা : বিএনপি’র পোলিং এজেন্ট নিয়োগে অনিশ্চিয়তা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর জয়ের পথে রয়েছেন। ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর নির্বাচনি এলাকা চাঁদপুর-১ কচুয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

অতীতের সকল উন্নয়নের দ্বিগুণ। তাঁর এ ব্যাপক উন্নয়নে এবং জনপ্রিয়তায় বিএনপি প্রার্থী কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনি সেল থেকে জানান ১০৮টি ভোট কেন্দ্রে ৪৯৬ পোলিং এজেন্ট নিয়োগ সম্পন্ন।

কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকায় এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয় অনেকটা সু-নিশ্চিত বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এবং টানা ৩য় বাবের মতো তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।

অন্যদিকে পুলিশি গ্রেফতার আতঙ্কের ভয়ে এবং মিলন সমর্থকদের নিরবতার কারণে বিএনপি’র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন ১০৮ টি ভোট কেন্দ্রের ৪৯৬ জন পোলিং এজেন্ট এখনো খুঁজে পাচ্ছেন না। কচুয়া আসনে ভোটার ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫শ’ ১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭শ’৫১ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৭ শ’ ৬২ জন। ভোট কেন্দ্র ১০৮ টি ও কক্ষ ৪শ’৯৬ টি ।

প্রসঙ্গত, মোশাররফ হোসেন মালয়েশিয়া বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

বিএনপি’র দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছরে এলাকায় নেতা-কর্মীদের সাথে মোহাম্মদ মোশাররফের তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু মোশাররফ হোসেন জানান- ১০ বছর নয় ; তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র জীবন থেকে এ দলটির সাথে সম্পৃক্ত। কচুয়ার রাজনীতিতে আমি এবং আমার পরিবারের ব্যাপক সম্পৃক্ততা রয়েছে।

প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায়ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের খৌঁজ খবর নিয়েছি। জাতীয়তাবাদী দল আমার প্রতি আস্থা রেখেই আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। যারা আমাকে নিয়ে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন ,তারা বর্তমান প্রশাসনের হাত থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তা’ করছেন।

মনোনয়ন পাওয়ার পর আমি কচুয়ার নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণার জন্য বের হলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা আমার গাড়ি ভাংচুর করে। তার পরেও নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে আবার নির্বাচনি প্রচারণায় এলাকায় আসলে তারা আমার নিজ গ্রাম বারৈয়ারার বাড়িতে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপরও গণতন্ত্র রক্ষায়, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কচুয়ার জনগণ ধানের শীষে ভোট দিতে পারলে আমার বিজয় নিশ্চিত বলে তিনি দাবি করেন।

প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু
২৮ ডিসেম্বর ,২০১৮ শুক্রবার

Leave a Reply