ফরিদগঞ্জ

ফরিদঞ্জে গ্রামীণ সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চতুরা-কালির বাজার সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যাহারের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীদের মধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর জামালউদ্দিন, বিল্লাল কোম্পানি, জয়নাল , মুক্তিযোব্ধা আলী আহম্মদ জানান সড়কটির সংস্কার কাজ মানসম্মতভাবে করা হচ্ছে না। দরপত্রের শর্তানুযায়ী ৬ ইঞ্চি ইটের কংক্রিট দেয়ার শর্ত থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৩/৪ ইঞ্চি , ৩ ইঞ্চি মেকাডম করার কথা থাকলেও করা হয়েছে দেড় থেকে ২ ইঞ্চি।

সড়কের দু‘পাশ ১ ফুট করে সম্প্রসারণের কথা থাকলেও তা সঠিক পরিমানে প্রসস্থ করা হচ্ছে না। ১নং ইটা ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও ত মানা হয়নি। পূর্বে ব্যবহারিত রাস্তার উপরের পিচ অংশ ও পুনরানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবার সড়কটি জীর্ণ দশায় পরিণত হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই এ জন্য দায়ী করছেন এলাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানাযায়, চতুরা – কালিরবাজার সড়ক ২ হাজার ৫০ মিটার । মেরামতের জন্য ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।

কাজের সাব-ঠিকাদার সৈয়দ গাজী জানান, ‘আমি প্রতি স্কয়ার ফিট সড়ক মেরামতের জন্য ১৫ টাকা হারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আমার কাজ করার কথা আমি কাজ করছি। নির্মাণ সামগ্রী ঠিকাদার সরবরাহ করছে।’

সরকারি খাতায় কাজের ঠিকাদার আতিক পাটওয়ারী। তিনি জানান, আমি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি। এখন আর রাস্তার কাছে অনিয়ম করার সুযোগ নেই। প্রকেশলী দেখাশুনা করছে।

এ বিষয়ে কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত এসও শাহাজাহান জানান, আমারা ল্যাবঃ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি। ল্যাবঃ স্টেষ্ট সম্পন্ন হয়ে আসলে কার্পেটিং শুরু হবে। চলমান কাজে অনিয়ম প্রশ্নে কোন জবাব না দিয়ে ল্যাবঃ টেষ্ট নির্ভর কথা বলে এড়িয়ে জান।

উপজেলা প্রকৌশলী ড. মোঃ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, কাজের মান রক্ষায় আমরা সচেষ্ট। মেকাডম করার পর আমরা ল্যাব টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি। কোন অনিয়ম করার সুযোগ দেওয়া হবে না। সব ধরণের পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে কার্পেটিং করার দির্নেশ দেওয়া হবে।

ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
৩০ মে ২০১৯

Share