Home / সারাদেশ / রেল ক্রসিংয়ে বিয়ের গাড়িতে ট্রেনের ধাক্কা : বর-কনেসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
rail crossing

রেল ক্রসিংয়ে বিয়ের গাড়িতে ট্রেনের ধাক্কা : বর-কনেসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে একটি বিয়ের গাড়িতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে বর-কনেও রয়েছেন। আহত রয়েছেন আরও ৪ জন।

সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন মজুমদার। সন্ধ্যায় উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতকান্দি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় বিয়ের যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ওসি হারুন মজুমদার বলেন, এ দুর্ঘটনায় বর-কনেসহ ৯ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। ৫ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ১০ জন হলেন- নববিবাহিত বর সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রাজন (৩২), তার সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী উল্লাপাড়ার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের মৃত গফুর শেখের মেয়ে সুমাইয়া (২১), একই গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী মমতা (৩৫), সদর উপজেলার রামগাঁতী গ্রামের মৃত আব্দুছ ছালামের ছেলে শফিউল (১৯), একই এলাকার মৃত মশিউর রহমানের ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৫), একই গ্রামের শিশু আলিফ (৯), সয়দাবাদ এলাকার নূর আলম (৩৫), সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ার ধানগড়া মহল্লার আলতাফ হোসেনের ছেলে শরীফ (৩২), রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামের আলম শেখের ছেলে খোকন (২৪) এবং মাইক্রোবাস চালক কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে স্বাধীন মিয়া (৫৫)।

উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিন অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার নাদির হোসেন জানান, উল্লাপাড়ার গুচ্ছগ্রামের সুমাইয়া খাতুনের সঙ্গে সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের রাজনের বিয়ে হয় সোমবার। বিয়ে শেষে কনেকে নিয়ে মাইক্রোবাসটিতে ফিরছিলেন বর ও তার সঙ্গী যাত্রীরা।

সন্ধ্যার দিকে তাদের মাইক্রোবাসটি বেতকান্দি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ট্রেন ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ বিয়ের গাড়িটিতে ধাক্কা দেয়। মাইক্রোবাসটি সেখান থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে শাহীকোলা পর্যন্ত টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় সে ট্রেন। এতে মাইক্রোবাসে থাকা নয় যাত্রী তখনই মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে মারা যান আরও একজন।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ট্রেনটিকে প্রায় আধঘণ্টা রেললাইনে আটকে রাখেন। উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দেয়। পরে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বার্তা কক্ষ
১৫ জুলাই ২০১৯