Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় স্ত্রীর মামলা : দু’পুলিশ প্রত্যাহার
Police-constable-mosharrof
মেঘনা নদীতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশের সন্ধান।

চাঁদপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় স্ত্রীর মামলা : দু’পুলিশ প্রত্যাহার

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে জেলেদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হাইমচর থানার পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন (৩২) নিহত হওয়ার ঘটনায় একই থানায় কর্মরত নারী পুলিশ সদস্য স্ত্রী শামীমা আক্তার হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জন জেলেকে আসামি করে এ মামলা করেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

এছাড়া ঘটনার সময় নিহত মোশারফের সাথে একই থানার এএসআই সুমন সরকার ও পুলিশ কনস্টেবল শাহাদাত হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এদিকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবিরের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আর মোশারফ হোসেন হত্যা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় চাঁদপুরের ডিবি পুলিশকে। চাঁদপুরের এসপি জিহাদুল কবির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হাইমচর থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল জেলার হিজড়া এলাকায় মেঘনা নদীতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকার মানুষ। বিষয়টি তারা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশকে জানায়।

গেলো ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাতে মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতারের জন্যে হাইমচর থানা ৪ পুলিশ, ২ গ্রাম পুলিশ, ১ জন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য ও নৌকার মাঝিসহ মেঘনার পশ্চিম পাড়ে চরকোড়ালিয়া এলাকায় রওনা করে।

ওই সময়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় জাটকা নিধন করা সংঘবদ্ধ জেলেরা তাদের আটক করা হবে সন্দেহ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৫ রাউন্ড ফাঁকাগুলি করে। এক পর্যায়ের জেলেদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নদীতে পড়ে যান। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার দু’দিন পর বরিশালের হিজলা এলাকায় মেঘনা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদস্যরা নদীতে যেকোনো অভিযানে গেলে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক। কার গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, প্রকৃত ঘটনা কী, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

করেসপন্ডেন্ট
২৯ এপ্রিল ২০১৯