মতলব দক্ষিণ

অভিযোগকারী যখন আসামী : মতলবে ছাত্রের লাশ উদ্ধার

চাঁদপুর  মতলব দক্ষিণে ওয়াসিম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত  আড়াইটায় একই গ্রামের হাজী তাজুল ইসলামের টয়লেটের টাঙ্কি থেকে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ থানার এসআই জহির।

নিহত স্কুল ছাত্র মাহিব (৭) উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের গুগন প্রধানীয়া বাড়ীর ওয়াসিম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তারের ছেলে। তার বাবা মাসুদ রানা প্রবাসি। মাহিব একই স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মতলব দক্ষিণ থানার এসআই জহির বলেন, ‘স্কুল ছাত্র মাহিব নিখোঁজের পুলিশ কয়েকজনকে সন্দেহ করে তাদের মোবাইল ট্যাংকিং শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাহিবের জেঠাকে আটক করা হয়। আটকের পর মাহিবের জেঠা জামালের স্বিকারোক্তি অনুযায়ী তাদের পাশের বাড়ী হাজী তাজুল ইসলামের বাথরুমের টাঙ্কী থেকে শিশু মাহিবের মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।’

পুলিশ জানায়, মাহিবের জেঠার উদ্দেশ্য ছিল মাহিবকে আটক করে মুক্তিপণ আদায় করা। বিষয়টি যখন এলোমেলো হয়ে যায়, তখনই সে ৩ ডিসেম্বর রাতে মাহিবকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ তার দোকানেই ছিল। ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে পাশ^বর্তী বাড়ীর হাজী তাজুল ইসলামের বাথ রুমের টাঙ্কীতে লাশ ফেলে দেয়।

এর পূর্বে গত ৩ ডিসেম্বর স্কুল ছাত্র মাহিব নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরের দিন ৪ ডিসেম্বর মাহিবের জেঠা খুনি জামাল মতলব দক্ষিণ থানায় জিডি করে। যার জিডি নং ১২৯।

স্কুলের শিশু শিক্ষার্থী মাহিবের লাশ উদ্ধারের খবর চার দিকে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি জামালের দোকানে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় পুলিশ জামালের ঘরে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশী পাইপগান উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ওসি এ কে এম এস ইকবাল হোসেন জানান, মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে মাহিবের জেঠা জামাল ও সজিবকে আটক করা হয়। আটককৃতদের সাথে নিয়ে তাদের দেখানো স্থান থেকে শিশু মাহিবের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মাহিবের বাবা প্রবাসি মাসুদ রানা বাদী হয়ে ৯ ডিসেম্বর রাতে মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ১০। মাহিবের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্টাফ করেসপন্ডেট
১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

Share