Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / মৈশাদীতে রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ
jayga dokhol
প্রতীকী ছবি

মৈশাদীতে রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ

নিয়ম ভেঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী তালতলা বাজারে রেলওয়ের সম্পত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন। একইসাথে চলছে অবৈধ লিজকৃত জমির দখল বেচা বিক্রি।

জেলার বিভিন্নস্থানের রেলওেয়ের সম্পত্তি দিনের পর দিন এভাবেই অবৈধভাবে দখল ও অনিয়মে তৈরি করা হচ্ছে পাকা ভবন।

এমনই অনিয়ম করে মৈশাদী তালতলা বাজারে রেলওয়ের সম্পত্তিতে পাকা দোকান ভবন নির্মান করছেন ইমা ফার্মেসীর সত্বাধিকারী মোঃ ইউসুফ গাজী ও বাজার ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন খান।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজারের রেললাইন থেকে প্রায় ২৫/৩০ ফুট দুরে তারা দু’জন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে তাদের অনুমতি ছাড়াই পাকা দোকান নির্মান করছেন।

এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সাথে ও কোন প্রকার পরামর্শ করা হয়নি বলে জানা গেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করছেন পাকা ভবন।

এরপর অনুসন্ধানে একের পর এক বেরিয়ে আসে রেলওয়ের লিজকৃত সম্পত্তির দখল বেচাবিক্রির নানা তথ্য। খবর নিয়ে জানা যায় ওই বাজারে রেলওয়ের সম্পত্তির মূল লিজ রয়েছে আলহাজ্ব শহিদুর রহমানের নামে।

তার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে লিজ দখল বিক্রি শুরু হয়। তারপর ফটিক খানের কাছ থেকে হারুন খান ক্রয় করেন। তিনি আবার ৪ লাখ টাকায় তার দখল বিক্রি করেন হান্নান খানের কাছে। এভাবেই ওই এলাকায় রেলওয়ের সম্পত্তির লিজ দখল বিক্রি হতে থাকে।

এ বিষয়ে মৈশাদী তালতলা বাজার কমিটির সভাপতি মনিক গাজী ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হোসেন গাজী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, পাকা দোকান নির্মাণ করার ব্যপারে ইউসুফ গাজী ও ইসমাইল খান আমাদেরকে কোন কিছুই জানায়নি। আমরা এ ব্যপারে কিছুই বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে ইমা ফার্মেসীর ইউসুফ গাজী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘রাস্তা চওড়া করার জন্য চেয়ারম্যান আমাদেরকে দোকান পেছনে নেয়ার কথা বলেছেন তাই আমরা এটিকে পেছনে নিয়ে মেরামত করছি। তিনি আরো বলেন দোকানটি আমার নয়, এটি ইসমাইল খানের দোকান। তিনি তার দোকান ঠিক করছেন আমি তার কাছে থেকে লিজক্রয় করেছি। এটি আমার বিষয় নয়। আপনারা তাদের সাথে কথা বলুন।’

এ ব্যাপারে ইসমাইল খান ও তার মাতা জানান আমরা কয়েক বছর আগে দোকানটি হারুন মিজির কাছ থেকে ৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেছি। হারুন মিজির সাথে কথা হলে তিনিও সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি ৪ লাখ টাকায় আমার দখলকৃত দোকানটি হান্নান খানের কাছে বিক্রি করেছি।

এ ব্যাপারে উপ সহকারী প্রকৌশলী কার্য চাঁদপুরের জাহান শরীফের সাথে কথা হলে তিনি বলেন রেলওয়ের সম্পত্তিতে পাকা ভবন নির্মান কিংবা লিজ বেচাবিক্রির কোন নিয়ম নেই। তারা দোকান মেরামত বা ঠিক করার জন্য আমাদেরকে কোন কিছুই জানায়নি।
আমরা এখন যখন জেনেছি কাল (আজ) ঘটনাস্থলে গিয়ে নাম ঠিকানা নিয়ে মামলা করে ব্যবস্থা নিবো।

কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ০৩ এএম, ৩ এপ্রিল ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply