খুলনার টুটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিদ্যালয়ের দপ্তরি বাচ্চু হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার সবাই প্রথম শ্রেণির ছাত্র ও খুলনা সরকারি শিশু সদনের সদস্য।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বাচ্চুকে আটক করা হয়।
লাকী ও কুলসুম নামের দুই অভিভাবক বলেন, ‘শিশু সদন থেকে দপ্তরি প্রতিদিন ছাত্রীদের স্কুলে আনা নেওয়া করে। কখনও স্কুলের শুরু হওয়ার আগে আবার কখনও ছুটির পরে নানা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ ও বাথরুমে ডেকে নিয়ে উক্ত ছাত্রীদের একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত এক সপ্তাহ আগে ধর্ষিত এই শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরা আমাদের বাচ্চাদের কাছে এ ঘটনা খুলে বলে। পরে আমরা এ বাচ্চাদের মুখে ঘটনা শুনি। বাচ্চাদের কথা মতো ঘটনাস্থানে রক্তমাখা টিস্যু দেখতে পাওয়া যায়।’
‘পরে স্কুলের সভাপতি এম এম মাসুদ মাহমুদ ও প্রধান শিক্ষক সঞ্জয়কে জানানো হয়। তারা বিষয়টির কোনো সমাধান না করায় আমরা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হই।’
তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে দপ্তরি এ ধরণের কাজ করে আসছে। এ ঘটনার পর অনেক মেয়ে ভয়ে স্কুলে আসছে না।
তারা এতিম এ বাচ্চাদের উপর এমন পাশবিক নির্যাতনের শাস্তি দাবি করেন।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বলেন, বাচ্চাদের মুখে ধর্ষণের জবানবন্দি আমি শুনেছি। দপ্তরিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমি বর্তমানে স্কুলে রয়েছি। (বাংলানিউজ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৫ : ০০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ