শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। দুর্গাপূজাকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তার হুমকি নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে দুর্গাপূজায় পটকা, আতশবাজি ও মাদকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজান ও নামাজের সময় সব ধরনের বাদ্য-বাজনা বন্ধ থাকবে। এবার দুর্গাপূজার বিসর্জনের দিন শুক্রবার হওয়ায় ঐ দিন দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল ধরনের বাদ্য-বাজনা স্থগিত থাকবে।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্গাপূজা ধর্মীয় বড় উৎসবের মধ্যে অন্যতম। এই উৎসবকে ঘিরে সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৩৪টি সার্বজনীন দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ৯টি সবচেয়ে বড় মন্দির। এগুলো হচ্ছে ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃঞ্চ মন্দির, কলাবাগন মন্দির, বনানী মন্দির। এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দির, রমনা কালি মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পুজা মণ্ডপ, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ। এর বাইরের সব মন্দিরেই কয়েকস্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।
নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে- প্রত্যেকটি মন্দির সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটর করা হবে, প্রবেশকালে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে ভক্তকূল ও দর্শকদের প্রবেশ করতে হবে। পোশাকে পুলিশ, নারী পুলিশ ও সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ আর্মডব্যাচ পরিহিত আলাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবেন। প্রত্যেক দর্শনার্থী ও ভক্তকে নিরাপত্তা বলয়, তল্লাশি ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করার পর প্রবেশ করতে হবে।
এছাড়াও ঢাকেশ্বরীর বাইরের প্রত্যেকটি মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। পুরো পূজা উৎসব ঘিরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। যেখান থেকে সার্বক্ষণিক পুলিশ অফিসাররা পূজা উদযাপন কমিটির নের্তৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বিধান করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার প্রত্যেকটি বড় বড় মন্দির স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ডিএমপি’র ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় র্যাব সদস্যরাও কাজ করবে। কোনো ধরনের ছিনতাই ও ইভটিজিং এর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। পূজা মণ্ডপ এলাকায় হকার বসতে ও ঢুকতে দেয়া হবে না।
দশমীর দিনে শোভাযাত্রা হবে। শোভাযাত্রার রুট হবে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেরিয়ে পলাশির মোড়, জঘন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, গোলাপ শাহ মাজার হয়ে, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হয়ে, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে, নবাবপুর সড়ক দিয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়, বাহাদুর শাহ পার্ক, জঘন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাটুয়াটলি হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিসর্জন হবে। শোভাযাত্রা ও বিসর্জন ঘিরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শোভাযাত্রার সামনে পেছনে ও মাঝে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। (ইত্তেফাক)
বার্তা কক্ষ
১৪ অক্টোবর,২০১৮