সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। সোমবারের এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘ প্রেসিডেন্ট বান কি মুন বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’
জাতিসংঘ বলছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের হামলার শিকার হওয়া স্কুল ও হাসপাতালগুলোর মধ্যে চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা মেদসাঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে বা এমএসএফ-এর একটি হাসপাতাল রয়েছে।
হামলায় ওই হাসপাতালে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমএসএফ বলেছে, ইদলিব প্রদেশে তাদের হাসপাতালটিকে ইচ্ছেকৃতভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে। ইদলিবের ওই হাসপাতালের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইসাবেলে ডেফরর্নি বলেছেন, হাসপাতালটিকে অন্তত তিন থেকে চারবার বোমা হামলা করা হয়েছে এবং হাসপাতালটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
এ হামলায় নিহত হয়েছে সাতজন। যাদের মধ্যে ৫ জন রোগী, একজন কেয়ারটেকার আর অন্যজন নিরাপত্তারক্ষী। এ ছাড়া হাসাপাতালের আরও ৮ জন কর্মকর্তা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারাও হয়তো নিহত হয়েছেন।
এ ধরনের কাজকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মন্তব্য করেছে ফ্রান্স।
আর হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করছে সিরিয় মানবাধিকারকর্মীরা, তবে তাদের এ দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সিরীয় এক কূটনীতিক বলেছেন, ইদলিবের ওই হাসপাতালটিতে মার্কিন বিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘এ ধরনের হামলা অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনাকে অনেকটাই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
একটি সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই একটি যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছিল।
আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:০১ অপরাহ্ন, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার
এমআরআর