Home / আন্তর্জাতিক / ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে
War---

ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে

১ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। সেই হামলার পর ইসরায়েল বারবার হুমকি দিয়েছে যে, তারা ইরানে অবশ্যই হামলা চালাবে। এ অবস্থায় ইরানও ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজা ও লেবাননে ইরান মিত্রদের দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই নিজে সরাসরি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

চারটি ইরানি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের জবাব দিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তেহরান এ যুদ্ধ এড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের সূত্রগুলো নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ইসরায়েলি আক্রমণের জবাব দেয়ার জন্য একাধিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রগুলো জানিয়েছে, তবে ইসরায়েলি হামলা কতটা ‘ভয়াবহ’ হয়, তার ওপর নির্ভর করেই প্রতিক্রিয়া জানাবে ইরান।

সূত্রগুলো জানিয়েছে,ইসরায়েলি হামলা যদি ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে, বিশেষ করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, তবে ইরান ব্যাপক কড়া জবাবা দেবে। যেমনটা দিয়েছে চলতি মাসের শুরুতে। তবে ইসরায়েলি হামলা যদি ইরানের সামরিক ঘাঁটি, বিভিন্ন সামরিক গুদাম লক্ষ্য করে চালানো হয়, তাহলে হয়তো ইরান খুব একটা প্রতিক্রিয়া জানাবে না।

ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ও জ্বালানি অবকাঠামো বা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যা করে, তবে তার প্রতিক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য খামেনি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের বড় ধরনের ক্ষতি করে, তবে প্রতিক্রিয়ায় ইরান ১ হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলে।

এদিকে, রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি আক্রমণের বিপরীতে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে সমানুপাতিক ও নির্ভুল।’

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিস্থিতির আলোকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত দুটি দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দু’ দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ এ অঞ্চলের বিশৃঙ্খলাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, গাজা ও লেবাননে কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা প্রায় শেষ করে দেবে এবং সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের সমর্থনে সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরান আরব দেশগুলোর সঙ্গে জোট শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে—তবে তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়া হলে তাদের জ্বালানি অবকাঠামোসহ অন্যান্য অবকাঠামো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

গত মঙ্গলবার কুয়েতে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাগচি বলেন, তিনি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নিশ্চিত আশ্বাস পেয়েছেন যে ইরানের ওপর আক্রমণ চালাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে বা তাদের ঘাঁটিতে জ্বালানি নিতে দেয়া হবে না।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
২৫ অক্টোবর ২০২৪
এজি