Home / কৃষি ও গবাদি / চাঁদপুরে আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
আলুর

চাঁদপুরে আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর চাঁদপুর জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা শুধু রবি মৌসুমেই ১ লাখ ৮০ হাজার টন আলু উৎপাদন হয়েছে। এবার ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হচ্ছে বলে খবর জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ থেকে দেশে আলু উৎপাদনে চাঁদপুর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার খবর পাওয়া যায়।

তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে এবার আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৬০০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩৮ হাজার ৪০০ টন। মতলব উত্তরে ৬৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৮ হাজার ৩৬০ টন। মতলব দক্ষিণে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ১৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৫১ হাজার ৬০০ টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১ হাজার ৬৮০ টন। কচুয়ায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৪৯ হাজার ২০০ টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ২ হাজার ৮৮০ টন এবং হাইমচরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩ হাজার ৮৪০ টন।

জেলার কৃষি বিপণন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারের মতো এবারো চাঁদপুরে ১২টি হিমাগারে ৭০ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করার ধারণক্ষমতা রয়েছে। বাকি আলু হিমাগারের বাইরে থাকে। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ আলু উৎপাদনের পর পরই বিক্রি হয় এবং বাকি আলু কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃত্রিমভাবে মাচায় সংরক্ষণ করে রাখে।

এদিকে চলতি করোনা মহামারিতে ত্রাণ হিসেবে সর্বমহলে চালের পাশাপাশি আলু রাখায় কৃষকরা আলুর ভালো দাম পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর খুরচা মূল্য ৪০-৪৫ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে কৃষকরা লাঙলের পরিবর্তে ট্রাক্টর ও হোচার পরিবর্তে বিদ্যুতচালিত স্যালো সেচ ব্যবস্থায় কাজ করছেন। এমনকি গোবরের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন। তার ওপর আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষিভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ, বীজবপন ও সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী। জেলার ব্যাংকগুলো যথারীতি ফসল ঋণ দিয়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সহায়তা দিচ্ছে। আমরাও কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে পাশে রয়েছি।

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ২১ জানুয়ারি ২০২৪