প্রেমিকাকে আনার জন্য পাঠিয়েছিলেন বন্ধুকে। সেই বন্ধুই তাঁকে নিয়ে উধাও হয়েছেন। আর প্রেমিকার মায়ের দায়ের করা অপহরণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হলো প্রেমিককে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের মুলাদীতে।
মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুলাদী পৌরসভার চরডিক্রী গ্রামের সিরাজ সরদারের ছেলে হাসান। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে হাসানের সঙ্গে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীর অভিভাবকেরা দ্রুত অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু ছাত্রী বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে হাসানের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য হাসান সরদার তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তেরচর গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদারের ছেলে শওকত হোসেনকে পাঠায়।
শওকত হোসেন ওই ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয় এবং হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। প্রেমের সম্পর্ক ধরে পুলিশ হাসান সরদারকে আটক করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। গত বুধবার রাতে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ হাসানকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠায়।
ছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল। কিন্তু হাসান সরদার কৌশলে তাঁর বন্ধুকে দিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। জানতে পেরে হাসান ও তাঁর বন্ধু শওকতকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার মণ্ডল জানান, স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ এনে তার মা দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। হাসান সরদারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার এবং শওকত হোসেনকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।
টাইমস ডেস্ক/ ৭ এপ্রিল ২০২৩