Home / জাতীয় / অর্থনীতি / বছরের প্রথম মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স
রেমিট্যান্স

বছরের প্রথম মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স

নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১.৭০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা (১ ডলারে ৮৬ টাকা ধরে), যা আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি। গত বছরের একই মাসের (২০২১ সালের জানুয়ারি) তুলনায় এবার রেমিট্যান্স কমেছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে ১৭০ কোটি (১.৭০ বিলিয়ন) ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।

তবে সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের চেয়ে নতুন বছরের জানুয়ারিতে ৬০২ কোটি টাকা বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। গত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৩ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রার হিসাবে ১৪ হাজার ১৮ কোটি টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। এর একটি হলো- সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়া, যেটা আবার বেড়ে আড়াই শতাংশ হয়েছে। অপর কারণটি হলো- ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া। অর্থাৎ এখন ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন।

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সরকার রেমিট্যান্স প্রবাহে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে। এরই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এ সূচকে। এছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ায় সেসব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে। নগদ সহায়তা বাস্তবায়ন হওয়ায় আগামীতে বৈধ চ্যানেলে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করা যায়।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৭ হাজার ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৭৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার কম। আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম ছয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।