বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এই নিয়োগ দেন।
আজ সন্ধ্যার আগে নিয়োগ আদেশে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো.গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কথা জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর আগে প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আব্দুল গফুর মোল্লা। তিনি ১৯৭২ সালে খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে আইএসসি, পরে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। আর ২০০৯ সালে স্থায়ী হন। আর ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী তাঁর অবসরের সময় সীমা ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিক দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এই বিচারপতি।