Home / সারাদেশ / সারা দেশে সংক্রমণরোধী পদক্ষেপ জোরদারের নির্দেশ
সংক্রমণরোধী

সারা দেশে সংক্রমণরোধী পদক্ষেপ জোরদারের নির্দেশ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় সারা দেশে সংক্রমণরোধী পদক্ষেপ জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে সারাদেশে সংক্রমণরোধী পদক্ষেপ সমূহ আরও জোরদার করা হয়েছে। সারাদেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থল, বিমান ও নৌ বন্দরে দায়িত্ব পালনকারীদের নিরলস চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যাতে কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করা যায়।

আরও বলা হয়, যশোরের বেনাপোলে আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর অবস্থিত হওয়ায় বিপুল পরিমাণ ভারত ফেরত যাত্রী প্রতিদিন দেশে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে গমন করে। সে জন্য চলমান কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে বেনাপোল স্থল বন্দরে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সন্দেহজনক হলে নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ভারত থেকে প্রাপ্ত করোনা নেগেটিভ সনদ যাচাই করা হয়। বৈধ করোনা নেগেটিভ সনদসহ আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ যাচাই সাপেক্ষে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

কোভিড সংক্রমণ শুরুর প্রথম থেকেই নিয়মিত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করে চলেছেন যশোর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ বিষয়ে যশোর জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, কোভিড ১৯ মহামারির শুরু থেকে অদ্যাবধি মোট ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪ মানুষকে হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে ৫ হাজার ৫০৯ জনকে যশোরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এবং ৩০৫ জনকে যশোরের বাহিরে বিভিন্ন হাসপাতালে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যশোরের বিভিন্ন আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারের পাশাপাশি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে নিয়মিত সেবা দেওয়া হচ্ছে কোভিড সন্দেহভাজন ও কোভিড সংক্রমিত রোগীদের। আউটডোরে বিশেষ ফ্লু কর্নার স্থাপন করে করোনা ও সদৃশ লক্ষণযুক্ত রোগীদের ওয়ানস্টপ ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ইয়োলো জোনে সন্দেহভাজন রোগী ও রেড জোনে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন নিবেদিত প্রাণ চিকিৎসকদের একটি দক্ষ দল।

বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য যশোরের সিভিল সার্জনের নির্দেশনায় ও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর তত্ত্বাবধানে কাজ করে একটি বিশেষায়িত মেডিকেল টিম।