Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ছুরিকাঘাত
কিশোরীকে

ফরিদগঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ছুরিকাঘাত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তরুণীর মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে তিন যুবককে আসামি করে ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেছেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১২ আগস্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রূপসা গ্রামে ইজিবাইক চালক রিপন হোসেনের ১৭ বছরের কিশোরী রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাহিরে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সাহেদ হোসেন (৩২) পিতা- মো.হানিফ পন্ডিত, মো.মহসিন পন্ডিত (৩১) পিতা- মুকসুদ আলম পন্ডিত, মো.ইউনুস হোসেন (৩৫) পিতা- আব্দুল আলী কিশোরীকে ঝাপটে ধরে। ওড়না দিয়ে মুখ বেধে ফেলে যেন ডাক চিৎকার দিতে না পারে এবং জোর পূর্বক ভিকটিমকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।

এক পর্যায়ে ভিকটিমমের মুখ থেকে কাপড় খুলে গেলে সে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তেজিত হয়ে ভিকটিমকে জীবনে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সাহেদ তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমের মাথার পিছনে আঘাত করে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং মাথার পিছনে ৫টি সেলাই দিতে হয়েছে। যা এমসিতে গ্রিভিয়াস হিসেবে দেখানো হয়। মহসিন এ সময় ভিকটিমের তলপেটে পর পর কয়েকটি লাথি মারে। ইউনুস ভিকটিমের বাম রানে পাড়া দিয়ে ধরে রাখে। এ অবস্থায় ভিকটিম সম্পূর্ণ নিস্তেজ হয়ে যায়।

ভিকটিমের মৃত্যু হয়েছে মনে করে তাকে ফরিদগঞ্জ-রায়পুর মহাসড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। লোক মুখে খবর পেয়ে কিশোরীর মা-বাবা ছুটে এসে তাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসক অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে ১৩ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট এবং পরবর্তীতে ২০ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসা নেয়। সে বর্তমানে মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং ভয় ও আতঙ্কে বাকরুদ্ধ।

কিশোরীর মা মমতাজ বেগম সাহেদ হোসেন (৩২) পিতা- মো.হানিফ পন্ডিত, মো.মহসিন পন্ডিত (৩১) পিতা- মুকসুদ আলম পন্ডিত, মো.ইউনুস হোসেন (৩৫) পিতা- আব্দুল আলী আসামী করে মোকাম বিজ্ঞ বিচারক আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে আসামীরা ২নং স্বাক্ষী কিশোরীর বাবা রিপনকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে এই বলে যে, ‘যদি কোন মামলা মোকাদ্দমা করে তাহলে তারা ভিকটিমকে বা তার মা-বাবাকে মেরে লাশ গুম করে দিবে এবং ঘর-বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে।’
চিকিৎসা নিয়ে আসতে সময় লেগেছে তাই মামলা করতে দেরী হয়েছে। আসামী কাউকে পাওয়া যায়নি বিদায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি ফরিদগঞ্জ থানায় রেকর্ড হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১