নির্মাণাধীন ভবন লিখে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ঢাকাগামী একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ জুন বুধবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী থানা পুলিশের দারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে হিজলা-ভাসানচর-ঢাকা রুটের এমভি রাজহংস-১০ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, এক তরুণী থানায় এসেছিলেন। তার অভিযোগ মৌখিকভাবে শুনেছি, তবে ঘটনাস্থল হিজলা থানার আওতায় হওয়ায় তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য বলেছি।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার জানান, ঘটনাটি গত শনিবার রাতের হলেও আজ বুধবার দুপুরে ওই তরুণী থানায় এসেছেন। আমরা তার অভিযোগ শুনেছি। এখন লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর তরুণীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, অভিযুক্ত যুবক মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মাধরায় গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মাইদুল ইসলাম মাসুম। তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল। মূলত বিয়ের প্রলোভনে এবং ঢাকায় চাকরি দিয়ে দেবে বলে প্রলুব্ধ করে লঞ্চের কেবিনে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছেন ওই তরুণী।
অভিযোগে তরুণী বলেন, তিনি লঞ্চের ডেকে আলাদাভাবে বিছানা পেতে যাচ্ছিলেন। লঞ্চ ছাড়ার পরে গভীর রাতে পূর্ব পরিচিত মাসুম এসে তাকে বিছানাসহ কেবিনে নিয়ে যান। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মাসুম তাকে বিয়ে করাসহ তার নামে অর্ধনির্মিত ভবন লিখে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তরুণী সম্মত না হলে মাসুম সেই রাতে কয়েক দফায় তাকে লঞ্চের কেবিনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। তরুণী কান্নাকাটি করলে তাকে গ্রামে নিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। পরে রোববার সকালে রাজধানীর সদরঘাটে তরুণীকে একা রেখে মাইদুল ইসলাম মাসুম পালিয়ে যান।
সদরঘাট থেকে ফিরে সোমবার মাইদুলের বাসায় গিয়ে তার বাবা খলিল হাওলাদারকে বিষয়টি জনালে তিনি দশ হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ম্যানেজ করতে চান।
এরপরে কাজিরহাট থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সেখান থেকে হিজলা থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। বুধবার ওই তরুণী হিজলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অনলাইন ডেস্ক,২ জুন ২০২১