কঠোর লকডাউনেও পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ইএবি। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, গার্মেন্টস কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখা হলে রফতানি বাজার হারাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান এই চার সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী ১৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে এই লকডাউন কর্মসূচিতে পোশাক খাতকে বাইরে রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, পোশাক খাতের বর্তমান বাস্তবতা চিন্তা করে গার্মেন্টস কারখানাগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা জরুরি।
মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘গত বছর সাধারণ ছুটি এবং পরবর্তী সময়ে দুই ঈদে শ্রমিকরা যেভাবে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন, আমরা সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছি। আমাদের আশঙ্কা, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই অনেক শ্রমিক শহর ছাড়তে পারেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই শ্রমিকরা যদি শহর ছাড়েন, তবে তা দেশব্যাপী সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। এ অবস্থায় সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, সার্বিক দিক বিবেচনায় রপ্তানিমুখী পোশাক খাতসহ বস্ত্র খাতের সহযোগী শিল্পগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে মো. আব্দুস সালাম ছাড়াও ছিলেন– বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সদ্য নির্বাচিত বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান প্রমুখ
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ১১ এপ্রিল,২০২১;