বিদেশফেরত ৮৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮১ জন ভিয়েতনাম ফেরত।
দুইজন কাতার ফেরত। ইতোমধ্যে তাদের আদালতেও পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের রাজধানীর তুরাগ থানায় নেওয়া হয়।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মক্তাকিন বাংলানিউজকে বলেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ওই দুই দেশে অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন।
তিনি বলেন, ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮১ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, গ্রেফতার ৮৩ জনের মধ্যে দুজন কাতার ফেরত। বাকিরা সবাই ভিয়েতনাম ফেরত। তারা সেখানে কোনো অপরাধে জড়ানোয় জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তারা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সবাইকে উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টিন শেষ হয় তাদের। এরমধ্যে ভিয়েতনামে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। সে অনুযায়ী ০১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বার্তাকক্ষ,০১ সেপ্টেম্বর ২০২০;
কে. এইচ