বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যানসহ মোট ১২৫টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রেলওয়ের ভ্যানগুলো স্টেইনলেস স্টিল বডি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, উচ্চগতি সম্পন্ন বগি এবং অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম সম্বলিত হওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনে বিশেষভাবে উপযোগী।
৩১ আগস্ট ২০২০ইং রোজ সোমবার রেলভবনে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপির উপস্থিতিতে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএনটিক-রেলটেকো-জিনসি, যৌথ কোম্পানীর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইয়াং বিং।
রেলপথ মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যাত্রী সেবার মান উন্নয়নসহ রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও ব্যপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসাবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর সহযোগিতায় ১২৫টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের অনুমোদন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার রেলওয়ে সেক্টর উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি মালামাল ও বিশেষায়িত পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর এ সকল লাগেজভ্যান সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যে রেলওয়ে রাজশাহী থেকে আম পরিবহন করেছে, এছাড়াও শাকসবজি ও নিত্য পণ্য পরিবহন করেছে। কোরবানির ঈদে পশু পরিবহন করেছে। ভবিষ্যতে কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তার নিকট পৌঁছানোর উদ্যোগ হিসাবে লাগেজ ভ্যান ক্রয় করা হচ্ছে। এতে করে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
রেলওয়েতে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। অনেক আগের করা কমিটি তাদের বক্তব্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। এটির ভুল ব্যাখ্যা মিডিয়ায় চলে এসেছে বলে রেলপথ মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
লাগেজ ভ্যানগুলো স্টেইনলেস স্টিল বডি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, উচ্চগতি সম্পন্ন বগি এবং অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম সম্বলিত হওয়ায় সাধারণ ও বিশেষায়িত পণ্য, যেমন বিভিন্ন রকমের খাদ্য দ্রব্য ও অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য ইত্যাদি কম খরচে ও কম সময়ের মধ্যে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
সিডি-ভ্যাট ছাড়া ভ্যানগুলো সংগ্রহে খরচ হচ্ছে ৩৫৮ কোটি টাকা। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ২০ মাসের মধ্যে এগুলো সরবরাহ শুরু হরে এবং ২৭ মাসের মধ্যে শেষ হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বার্তাকক্ষ ৩১ আগস্ট ২০২০
কে. এইচ