তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারও অর্থবিত্ত দেখে আওয়ামী লীগে কোনো পদপদবি দেয়া যাবে না। অমুকের পয়সা আছে, দল চালাতে সুবিধা হবে– এ বিবেচনায় কাউকে পদ দেয়া যাবে না। এটি আমাদের দলের রাজনীতি ও আদর্শ নয়।
৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাবনা জেলা শাখার তৃণমূল প্রতিনিধিসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, পর পর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের মধ্যে অনেক সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে; তারা এখন এই সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।
যারা অনুপ্রবেশকারী সুবিধাভোগের জন্য দল করছেন তাদের চিহ্নিত করে পদ থেকে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। দল ও আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা এবং নেত্রীর প্রতি একাগ্রতাই হবে দলীয় পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সংকটে পড়েছে, তখন অনেক বড় নেতা ভোল পাল্টিয়েছে, অনেকে দল ছেড়ে চলে গেছে। এটি শুধু শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছে তা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তখনও ঘটেছে।
১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকে সমস্যার বাঁকে বাঁকে অনেক নেতা বাঁকা হয়ে দল থেকে চলে গেছে। দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছে। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা কখনও দলের সাথে বেঈমানি করেনি। তৃণমূল সবসময় দল ও নেতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করেছে। সেই কারণে আওয়ামী লীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং পরপর চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরপর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের অনেকের মধ্যে অলসতা এসেছে। এই আলস্য ঝেড়ে ফেলতে হবে। দলের কারণে সরকার, সরকারের কারণে দল নয়। আমাদের মূল ঠিকানা দল।
সুতরাং সবাইকে দলকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যারা নির্বাচিত এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবার মূল ঠিকানা হচ্ছে দল। সবাই এখন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। দলের কারণে সবাই আমরা পদের মধ্যে আছি। সুতরাং দায়িত্ব পালন করার সময় দলের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে।
বার্তা কক্ষ,৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০