Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার নায়ক কে এই জয়?
কে এই জয়
ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান মাহমুদুল হাসান জয়।

বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার নায়ক কে এই জয়?

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে ৭ উইকেটের সহজ জয় এনে দিয়েছেন।

ব্যাংকার বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে পড়ালেখা শেষ করে তার পেশাই বেছে নেবে। আবুল বারেকের স্বপ্ন কুঁড়িতেই ঝরে পড়ে। বাবার নয়, নিজের স্বপ্নের পিছেই ছুটেছেন মাহমুদুল। যে স্বপ্নের অলিগলি পেরিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন ২০০০ সালে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার।

উপজেলার রামপুর কাদর আলী ভূঁইয়া বাড়ির বিশিষ্ট ব্যাংকার আব্দুল বারেকের ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় মাহমুদুল ছোট থেকেই ডানপিটে।রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরে রামপুর মাদ্রাসা পড়াশুনা অবস্থায় চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমির শামীম ভাইয়ের শীর্ষ।সেখান থেকে বিকেএসপিতে পড়াশুনা ও ক্রিকেট খেলা।

জয় জানান, একদম ছোটবেলা থেকেই টেপ টেনিসে পাড়ার স্কুলে ক্রিকেট খেলতাম। যদিও খেলার সুযোগ পেতাম না বড় ভাইদের জন্য। তারা আমাকে ব্যাটিং দিতো না, কেবল ফিল্ডিং করাতো। আমি হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতাম। তখন মনে জেদ চাপতো, আমিও ভালো ব্যাটসম্যান হয়ে বড় ভাইদের দেখিয়ে দেবো।

কে এই জয়

আমার এক আঙ্কেল বিজিবিতে চাকরি করেন, তার পোস্টিং ছিল রাঙামাটি। আমি তখন ছোট, ১৩ বছর বয়স হবে। ওই সময় আব্বু আমাকে নিয়ে রাঙামাটি ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানে ওই আঙ্কেলের কাছে আমার নামে বিচার দেয়। আব্বু আঙ্কেলকে বলে, আমি সারাদিন স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলে বেড়াই। এসব শুনে আঙ্কেল আব্বুকে বলেন, আমাকে বিকেএসপিতে ভর্তি করানোর কথা।

প্রথমে ২০১৩ সালে আমি চাঁদপুরের ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হই। শামীম স্যারের কাছে দুই বছর অনুশীলন করি। এরপর ২০১৪ সালের শেষের দিকে বিকেএসপিতে ভর্তি হই। ওখানে বয়সভিত্তিক ধাপগুলো পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি।

২০১৩ সালে ক্রিকেট বলে শুরুটাই তো হয়েছে তার হাত ধরে। তার কাছে ব্যাট-বল ধরা শেখা আমার। উনিই আমাকে প্রাথমিক বিষয়গুলো শিখিয়েছেন। তার কাছে দুই বছর ব্যাটিংয়ে পাওয়া শিক্ষা পরবর্তীতে বিকেএসপিতে কাজে লাগাতে পেরেছি।

জয় বলেন,দ্রাবিড়কে ‘দ্য ওয়াল’ বলা হতো। আমিও আমার দলের ‘ওয়াল’ হতে চাই। দেশের মধ্যে সাকিব ভাইয়ের খেলা ভালো লাগে। তার মধ্যে থাকা আক্রমণাত্মক মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করে।দ্রাবিড়-সাকিবকে আদর্শ মেনে তার এগিয়ে চলাপ্রোফাইল

আজ সে বিশ্বকাপে অনুর্ধ্ব-১৯ মাঠ কাঁপানো খেলোয়াড়। তার সেঞ্চুরির হাত ধরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বকাপ ফাইনালে। মাহমুদুল হাসানকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। ফরিদগঞ্জবাসীর বিশ্বাস মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলবে।

শিমুল হাসান