লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মিজানুর রহমান আজহারী ও আমির হামযাসহ কয়েকজন আলেমের ওয়াজ মাহফিলে ইসলাম গ্রহণকারী ১১ নারী-পুরুষকে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি, সোমবার বিকেলে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ইসলাম গ্রহণকারী মনির হোসেনসহ (হিন্দু নাম শঙ্কর অধিকারী) ১২ জনের কাছ থেকে ভারতের বৈধ পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তারা ভারতের নাগরিক। দুই মাসের ভিসা নিয়ে ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট যশোরের বেনাপোল হয়ে তারা বাংলাদেশে আসে। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা ভারত ফিরে যায়নি। গত ডিসেম্বরে তারা ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে বাংলাদেশী জন্মসনদ তৈরি করেছে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাদেরকে ভারত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধর্মান্তরিত মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ২ মাসের ভিসা নিয়ে আমরা বাংলাদেশে প্রবেশ করি। এরপর আমি স্ত্রী-সন্তানদের লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার ইছাপুর গ্রামে আসি। ভারত আর ফেরত যেতে চাই না। পুলিশ আমাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বেনাপোল দিয়ে ভারত পাঠাচ্ছে। আমরা ভারত গিয়ে কি করবো। সবকিছু বিক্রি করে আমরা বাংলাদেশে এসে মুসলমান হয়েছি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম বিল্লাহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, তারা পাসপোর্টধারী যাত্রী। নিয়ম অনুযায়ী ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারা ভারতে ফিরে গেছে। কোনো সমস্যা থাকলে আমরা বিষয়টি দেখতাম।
জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার উপজেলার পানপাড়া এলাকার ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী বক্তা ছিলেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী ও আমির হামযাসহ কয়েকজন আলেম। সেখানে মাহফিলের আয়োজকদের মাধ্যমে মনির হোসেনসহ তার পরিবারের ১২ জন সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
এর প্রেক্ষিতে খোঁজ নিতে গিয়ে পুলিশ তাদেরকে ভারতীয় পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার করে।
বার্তা কক্ষ, ২৭ জানুয়ারি ২০২০