আগামি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।
এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭ শ ৭৯ জন। পরীক্ষার জন্য আগামি ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
পরীক্ষা নকলমুক্ত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গতবারের মত এবারও যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থায় থাকবে মন্ত্রণালয় বলেও জানান মন্ত্রী।
দীপু মনি জানান,‘ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়
-
২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭ শ ৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। তার মধ্যে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩ শ ৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪ শ ১৬ জন ছাত্রী। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে মাসব্যাপী দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘ গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত বছর সারাদেশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩ শ ৩৩। সে তুলনায় এবার ৮৭ হাজার ৫ শ ৫৪ জন পরীক্ষার্থী কমে গেছে। তার মধ্যে ৪৬ হাজার ৭৮ জন ছাত্র ও ৪১ হাজার ৪ শ ৭৬ জন ছাত্রী। এবার সারাদেশে ৩ হাজার ৫ শ ১২টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৮ শ ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
এ সময় আরও জানানো হয়, গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২টি ও কেন্দ্র ১৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬ শ ৮৮ ও অনিয়মিত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩ শ ২৫, বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১ থেকে ৪ বিষয়ে ফেল) ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৪ এবং বিদেশি ৮টি কেন্দ্রে ৩ শ ৪২ জন এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
সাধারণ ৯ টি বোর্ডে ১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । ব্যবহারিক পরীক্ষা ৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেও একই সময়ে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে । ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘ অন্যান্য বারের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে। ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এমএমএসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।’
‘এবার এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় ও ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা,স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে ।’
ঢাকা ব্যুরো চীফ , ১৬ জানুয়ারি ২০২০