‘কোন জাল ফেলবো না জাটকা ইলিশ ধরবো না’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুরে জাটকা সংরক্ষেণে নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা জাটকা সংরক্ষণ টাস্কফোর্সের আয়োজনে এই র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের বড়স্টেশন মোলহেড থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি রাজরাজেশ^র চরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলেদের সাথে জাটকা সংরক্ষণে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন,ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের জাটকা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাটকা মাছ নিধনরোধ করতে পারলে বাংলাদেশ ইলিশের প্রাচুর্যে ভরে যাবে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়টাতে কোন অবস্থাতেই জাটকা ইলিশ ধরা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ জাটকা মাছ ধরতে নদীতে নামলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাটকা নিধনরোধে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু জাহেদ চৌধুরী পারভেজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাসহ নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘানার ৬০ কিলোমিটার এলাকায় মাছেদের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। এসময় জাটকাসহ কোন প্রকার মাছ ধরা যাবে না নদীতে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যদি কেউ মাছ ধরে বা জাল ফেলে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে জেল খাটা, জাল পুড়িয়ে দেয়া ও ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এসব জরিমানা এক বা একাধিকও হতে পারে।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম
১৯ মার্চ,২০১৯