প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।সারাদেশে এই নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় নেই। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা আর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুই পরীক্ষার মাঝে সময় আছে কেবল মার্চ মাসে। তাই এ সময়টাই উপজেলা নির্বাচনের জন্য বেছে নিতে চায় কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চে নির্বাচন করতে হলে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
ডিসেম্বরের শেষে জাতীয় নির্বাচন করায় জানুয়ারিতে উপজেলা নির্বাচন করাটা যৌক্তিক মনে করছে না নির্বাচন কমিশন।যদিও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
সে সময় ৬ ধাপে ৪৮৭টির বেশি উপজেলায় নির্বাচন হয়। তবে গতবার নির্দলীয় ভোট হলেও এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন।এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে ওইসব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।
জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বার্তাকক্ষ
২ জানুয়ারি ২০১৯