হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নির্ধারিত সময়ের ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি।
ঢাকা টু পিরোজপুর নৌ রোডের অভিযান-৭ ও অগ্রদূত প্লাস লঞ্চ দুটির মধ্যে সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটেছে। ঈদের ছুটিতে পিরোজপুরে আসা স্বজনরা ঈদ উৎসব শেষে শহর বন্দর গ্রাম ছেড়ে সোমবার কর্মস্থলে ফিরেই অফিস করবেন এমন ব্যস্ততা নিয়েই শত শত মানুষ বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন বাহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রওনা হয়েছেন।
জেলার হুলারহাট লঞ্চ ঘাট, বেকুটিয়া লঞ্চ ঘাট, তুষখালী, বড় মাছুয়া ভান্ডারিয়া ও কাউখালীসহ বেশ কিছু ঘাট থেকে ঝুঁকি নিয়ে এসব লঞ্চে চড়ে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন যাত্রীরা। কিন্তু এসব যাত্রীদের কেউই নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় না রেখেই ঠাসাঠাসি করে কয়েকগুন চড়া মূল্যে টিকিট কেটে ভোগান্তি নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন গন্তব্যে।
হুলারহাট ঘাটের ইজারাদার মঞ্জু তালুকদার জানান, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে বেলা ২টায় ছেড়ে আসা অভিযান-৭ লঞ্চটি কঁচা নদীর মাঝ পথে আসা মাত্রই হুলারহাট ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া অগ্রদূত প্লাস লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অভিযান-৭ তিন ঘণ্টা বিলম্বের পর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এ দিকে লঞ্চটিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে ১৫০ জনের মতো যাত্রী বাড়ি ফিরে যায়।
বিআইডব্লিইটিসি’র পিএল মো. লাল মিয়া জানান, সংঘর্ষের কারণে অভিযান-৭ লঞ্চটির সাইড ৫/২ ইঞ্চি ফেঁটে যায়। পরে ৩ ঘণ্টা মেরামতের পর লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তিনি আরও জানান, অভিযান-৭ লঞ্চে প্রায় ৭৫৬ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে। (জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ