পবিত্র রমজান মাস ও ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুর-লাকসাম রেল-পথে এখন পূর্বের চাইতে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সব যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যাওয়ার প্রয়োজনে তাড়াহুড়ো করে ট্রেন থেকে নামতে ও উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করছে এবং কস্ট শিকার করে জীবন কাটাতে হচেছ।
জেলা প্রশাসক গ্রীন চাঁদপুর ক্লীন চাঁদপুর ঘোষনার পর এস্থানে এ ক্লিন চাঁদপুরের হাওয়া লাগেনি। প্রধান মন্ত্রী ১ এপ্রিল চাঁদপুর আগমনে ৩দিন অবৈধ দোকান গুলো সরিয়ে রাখা হয়েছিল।
প্রধান মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরের দিন থেকে পুনরায় অবৈধ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বহাল তবিয়তে চর দখলের মত জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে পরিচালনা করে যাচেছ।
স্থানীয় প্রশাসন আইন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ নিশ্চুপ থাকায় তারা প্রতিযোগিতা করে প্রতিদিন নতুন-নতুন দোকান বসাচেছ।
এসব অবৈধ দোকানের কারনে ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মালামাল নিয়ে উঠতে গিয়ে ও নামতে গিয়ে যানজটে শনিবার (৯ জুন) বৃদ্ধা নারীর মৃত্যুসহ ৩ বছরে ২৬ যাত্রী প্রাণ হারায়।
এখানকার ব্যবসায়ী এলাকাবাসীরদের আরো অভিযোগ, এদেরকে প্রশাসনিক ভাবে সহযোগিতা করেন,স্থানীয় কোট স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ের এ পথের দায়িত্বে থাকা এক জন মেস্তরী। তাদের সাথে যোগাযোগ করে এ সব দোকান বসানো হয়েছে। যা” তদন্ত কালে তাদের নাম প্রকাশ পাবে।
রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ আসলে অবৈধ দোকান সরিয়ে ফেলা হয়। কর্তৃপক্ষ চলে গেলে আবার দোকান বসানো হয়।
অবৈধ দখলদারদেরকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে উচেছদ নৌর্টিশ দেওয়ার পর ও তারা সেখানে স্থায়ী ভাবে দোকান বসিয়েছে। জনৈকি দোকানির রাতে জ্বালানো কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের সৃস্টি হয়ে বর্তমান পাকা এ গেইট ঘরটি তখন টিন ও কাঠের থাকায় আগুনে পুড়ে রেলওয়ের লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনার পর কোন মামলা বা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে এ সব দোকানীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর রেলওয়ে মো: সারোয়ার আলম জানান, বিগত দিনে আমরা অবৈধ দোকান পাঠ সরিয়ে দিয়ে ছিলাম। প্রধান মন্ত্রী ১ এপ্রিল চাঁদপুর আসার পূর্বে ও অবৈধ দোকান সরিয়ে দিয়ে ছিলাম। আবার তারা বসছে। যাত্রীদের চলাচলের স্বার্থে আবার উচেছদ করে অবৈধ দোকান সরিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ মো: আমিনুল হক জানান, আমার অফিসের কেহ এখান থেকে কোন সুবিধা ভোগ করেনা। কয়েকবার উচেছদ করার পর আবার বসে। আমাদের এখানে স্থায়ী ভাবে ডিউটি দেওয়ার কোন লোক নেই। তাদের হাত লম্বা হওয়ায় উচেছদের পর পূনরায় বসে। তবে যাত্রীদের যাতায়তের স্বার্থে আবার উচেছদ করার ব্যবস্থা নিব। যেভাবে ফলের দোকান বসেছে,তাতে যাত্রী যাতায়তের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে কাটা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্রগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী -১ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী রেলওয়ের কোন জায়গা প্রয়োজন না হলে তা”ও রেললাইন থেকে ২০/৩০ ফুট দূরে হলে সে জায়গা নিতিমালা মোতাবেক লীজ দেওয়া যেতে পারে। রেল-লাইনের কাছে কোন লিজ দেওয়ার বিধান নেই। চাঁদপুরের বিষয়টি দেখার জন্য আমাদের দায়িত্বরত ব্যক্তি রয়েছে,তার সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে চট্রগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার (ডি আর এম) ব্যবস্থাপক মো: জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,চাঁদপুরে উচেছদ অভিযান হওয়ার কথা থাকলে ও তা” হয়নি। তবে অচিরেই একটি উচেছদ অভিযান হবে।
চাঁদপুর কোর্টস্টেশনের গেইট ঘর সংলগ্ন স্থানের অবৈধ দোকানের বিষটি আমার জানা আছে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিব। অবৈধ সব সময় অবৈধ।
রেলওয়ের যাত্রীদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। যাত্রী ট্রেনে উঠতে গিয়ে সমস্যা যাতে না হয়, সে বিষয়টি আমরা দেখছি।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন- চাঁদপুর ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কাটা পড়ে বৃদ্ধা যাত্রীর মৃত্যু
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম