হাজীগঞ্জে ছিনতাই মামলায় দু’জনের কারাদণ্ড

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাখার বলাখাল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের টাকা ছিনতাই ও মারধর করে আহত করার অপরাধে দুইজনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে একই আদালত।

রোববার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এই রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মধ্য বলাখাল গ্রামের শামছুল হকের ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া ও মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছেলে মো. ইউনুছ ওরফে বাবুল।

হামলার শিকার আব্দুর রহিম বলাখাল বাজারের একজন চা দোকানী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম তার চা দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় ঠাকুর ও মিজি বাড়ীর রাস্তার উপরে পৌঁছালে উল্লেখিত আসামীরা দুই দিক থেকে তাকে আক্রমন করে আহত করেন।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা নগদ ৫২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমিন উল্যাহ নামের এক রিক্সা চালক তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তার বাড়ীতে পরে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্তা আশঙ্কাজনক হওয়া পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করা হয়।

এই ঘটনায় পরদিন ২৬ ডিসেম্বর আব্দুর রহিমের জেঠাত ভাই জয়নাল মিয়াজী বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২০।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী রবিউল হক তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি আদালতে চার্জশীর্ট দাখিল করেন।

মামলাটি দীর্ঘ তিন বছরেরও অধিক সময় চলাকালীন সময়ে ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। সাক্ষ্য চলাকালীন সময় আসামী মো. ইউনুছ পলাতক হন। অপর আসামী বাচ্চু মিয়া জেল হাজতে রয়েছেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোঃ আমান উল্যাহ জানান, আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীদ্বয় অপরাধী হওয়ায় ৩৯৪ ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদÐ, ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করেন। এর মধ্যে কারাগারে থাকা আসামীর হাজবাত সময় বাদ যাবে। আর পলাতক আসামীর গ্রেফতার সময় থেকে সাজা শুরু হবে।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. ওমর ফারুক (টিটু)।

প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক