বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিপত্র পাওয়ায় করের হার বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এর কারণ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশের অনেক সুযোগ-সুবিধা কমবে। তবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে কর আহরণ বাড়ানো হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃঅফিস ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মুহিত।
জাতিসংঘ উন্নয়নের দিক থেকে বিশ্বের দেশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করে। সবার নিচে আছে স্বল্প আয়ের বা এলডিসি, মাঝে উন্নয়নশীল এবং সবার শেষ ভাগে উন্নত রাষ্ট্র।
১৯৭৫ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ সময় ১৭ মার্চ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতিপত্র জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোনেমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিতে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ তিনটির যেকোনো দুটি অর্জন করতে পারলেই স্বীকৃতি মেলে। বাংলাদেশ তিনটি সূচকেই পর্যাপ্ত মান অর্জন করে এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে ২০২৪ সালে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের জন্য এই অর্জন যেমন গর্বের, তেমনি কিছু চ্যালেঞ্জের। এলডিসি দেশ হিসেবে স্বল্প সুদে ঋণ আর মিলবে না বলে জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই সঙ্গে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা বা জিএসপিও সংকুচিত হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বহির্বিশ্ব থেকে এখন থেকে রেয়াতি (কনসেশনাল) সুবিধার পরিবর্তে ঋণ নেয়া হবে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী বছরে দেশের জিডিপি কমার কোন সম্ভাবনা নেই।’ অর্থনীতির প্রতিটি খাতই চলমান এবং ভালো আছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহী উদ্দিন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ২০ পি.এম ২০মার্চ,২০১৮মঙ্গলবার
কে এইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur