Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ‘২০৫০ সালের মধ্যে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ভয়ে ভারত উদ্বিগ্ন’
Bahauddin Inqilab
ফাইল ছবি

‘২০৫০ সালের মধ্যে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ভয়ে ভারত উদ্বিগ্ন’

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিন এর সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন বলেছেন, এ অঞ্চলে কিন্তু আল্লাহর নবী কিংবা সাহাবাদের আগমন ঘটেনি। অথচ সর্বত্রই ছিল মুসলমানদের আধিপত্য। শুধুমাত্র ভারতেই মুসলমানরা প্রায় ১শ’ বছর শাসন করেছেন। এখন ভারতের বিজিপি সরকার উদ্বিগ্ন ২০৫০ সালের মধ্যে আবার মুসলমানদের শাসন কায়েম হয়ে যায় কী না।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় দু’দিন ব্যাপি তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে সভাপ্রধানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহফিলের শুরুতে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব এর প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মন্ত্রী, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান(রহ:) ও তাঁর সহধর্মিণী মরহুমা হোসনে আরা বেগমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মাহফিলে ইনকিলাব সম্পাদক আরো বলেন, সারা পৃথিবীর যেখানে মুসলমানদের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সবই সূফি দরবেশদের কারণে। উপমহাদেশে এখন মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ৭০ কোটি। সেই আফগানিস্তান থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত মুসলমানের বিচরণ। ইনশাল্লাহ এ শতাব্দির শেষে মুসলমাদের সংখ্যা দাঁড়াবে একশ’ কোটি।

মিয়ানমার যে মুসলমানদের বের করে দিচ্ছে সেটাও তাদের একটা উদ্বেগের কারন। হয়তো ভবিষৎতের জন্য মুসলমানরা তাদের জন্য হুমকি হতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ১৬ কোটিই মুসলমান। এ সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তেছে বৈ কমছে না। শিক্ষার ও দক্ষতার হার বাড়ছে। এই যে বিশাল সংখ্যক মুসলমান দক্ষ ও যোগ্য হচ্ছে, তারা দুনিয়া শাসন করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু তারা কাদের ছায়ায় আছে?

সিলেটে কদিন আগে একটি ছোট-খাটো ঘটনা ঘটেছে। অখচ এধরনের ঘটনা দেশে একদিনেই বহু ঘটে থাকে। যেহেতু এঘটনায় আলেম সমাজ জড়িত হয়েছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। মুসলমানদের মতো এমন শান্তিপ্রিয়, নিরীহ এবং ভালো মানুষ আল্লাহপাক পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি সৃষ্টি করেননি এবং করবেনও না। কিন্তু আমাদের এ ভালো কাজগুলোকে কতিপয় ব্যক্তি তাদের কর্মকান্ড ও অপব্যাখা দিয়ে বিশ^ব্যপি মুসলমানদের খাটো করছে।
এদেশের আলেম সমাজ কখনো হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করেন না। সবাইকে ভালো মানুষ হতে পরামর্শ দেন। এ কারনে বাংলাদেশে আলেমদের সামাজিক নেতৃত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে অপরাধ প্রবনতা বেড়ে গেছে। মাদকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। মাদকাসক্ত সমাজ দিয়ে যে কোন খারাপ কাজ করানো যেতে পারে। খুন-খারাপী থেকে ধর্ষণ। এর আলামতও শুরু হয়ে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে নেই। খোদ আমেরিকার মতো দেশেও তা পারছে না। এ কারনে আমেরিকার ছেলেদের হাতে কতো শত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। স্কুলে ডুকে নিজেদের সহপাঠীদের গুলি করে হত্যা করছে।

এসব কারণে তাদের সমাজ সংকটে পড়েছে। অথচ এতোদিন তারা ওয়াশিংটনে বসে কিভাবে পৃথিবীর অন্যদেশে বোমা মেরে মানুষ মারা যায় তা শিখিয়েছে। ভালো মানুষ হতে শিখায়নি। বাংলাদেশের কিছু যুবসমাজ অসভ্য, বেয়াদব ও উগ্রপন্থি হয়ে ওঠছে। তারা শিক্ষক ও পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা করে না। তাই এ তেকে উত্তোরণের একমাত্র সঠিক পথ হচ্ছে কুরআন ও হাদিসের আলোকে আলেম সমাজের নির্দেশিত পথে চলা।

দু দিন ব্যাপি তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিনে তাফসির করেন, মাওলানা মুফতি ড. কাফিল উদ্দি সরকার সালেহী, বয়ান করেন ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। মুফতি মাওলানা এইচ এম আনোয়ার মোল্লা, মাওলানা মমিনুল ইসলাম খান। অতিথি ছিলেন গিয়াসউদ্দিন বাবুল পাটওয়ারী, সফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী।

মাহফিলের প্রথমদিনে প্রধান ওয়াজিন ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক আল্লামা কবি রুহুল আমিন খান, মুফতি মাওলানা জসিম উদ্দিন আজহারী।

করেসপন্ডেন্ট