Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / ১৭ বছরেও এমপিও হয়নি কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা
১৭ বছরেও এমপিও হয়নি কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা
কচুয়ার কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার কার্যক্রম ও ভবন নির্মানের কাজ এগিয়ে চলছে।

১৭ বছরেও এমপিও হয়নি কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা

জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া ॥
একাডেমিক ভবন, শ্রেণি কক্ষ, আসবাবপত্র ও দীর্ঘ ১৭ বছরও এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় নানান সমস্যার বোঝা মাথায় নিয়ে চলছে কচুয়ার পৌরসভাধীন ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কোয়া চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম।

প্রতি বছর দাখিল, জেডিসি ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগসহ সন্তোষজন ফলাফল অর্জন করে আসছে এ মাদ্রাসাটি। মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত করণের আজো স্বপ্ন নিয়ে ঘুর দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি।
সরেজমিনে জানাগেছে, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারী তৎকালিন সময়ে কোয়া-চাঁদপুর গ্রামের অধিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের সাবেক উপ-পরিচালক মরহুম মোঃ আমিনুল হক এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষা বিস্তারের চাহিদা মেটাতে এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ ভূমি থাকলেও ক্লাস চলার মতো কোন একাডেমিক ভবন না থাকায় সমস্যার মধ্যদিয়ে পাঠদান চলছে।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মোঃ ইয়াকুব আলী জানান, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমি ও অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীগণ মাদ্রাসায় কর্মরত রয়েছি। বর্তমানে মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অতি কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছি। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ১৬জন শিক্ষক কর্মচারী ও প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষ না থাকায় বাধ্য হয়ে কখনো বারান্দায়, কখনো বা খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে।

মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ জামাল হোসেন জানান, কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত করণ করা এখন সময়ের দাবী। আমার জানামতে, এ প্রতিষ্ঠানটি প্রায় প্রতিবছর সন্তোষজনক ফলাফল উপহার দিয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, বিগত ২৮ জানুয়ারী মাদ্রাসা মাঠে আমাদের প্রিয় নেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী মাদ্রাসাটিকে এমপিও ভুক্ত করণ ও একাডেমিক ভবন নির্মানে জোর দাবী জানান।

এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণে ১০ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এরই প্রতিশ্রুতিতে গত ২ মাস যাবৎ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। ভবনটি বর্তমানে ফাউন্ডেশনের কাজ শেষ হয়ে উপরে ভিট লেভেলের কাজ চলছে।

এতে ধার-দেনা করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে অর্থ সংকটে ভবন নির্মান কাজ এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। ভবন নির্মান কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ধর্নাঢ্য ব্যক্তি, শিক্ষানুরাগী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন এলাকাবাসী।

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ৫৩ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply