কচুয়া

১৩ দিন ধরে বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত কচুয়ার তথ্য আপা

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা তথ্য কেন্দ্রের তথ্য সেবা কর্মকর্তা (তথ্য আপা) টানা ১৩ দিন ধরে বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে না এসে অনুপস্থিত রয়েছেন।

গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে তিনি নিজ কর্মস্থল থেকে গাজীপুরের বাসার উদ্দেশে বেরিয়ে আজও শ্বশুরালয়, পিত্রালয় ও কর্মস্থলে না আসায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে।তিনি কি আদৌ নিখোঁজ নাকি লুকোচুরি এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।

জানা গেছে, কচুয়া তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একই বছরের ২ ডিসেম্বর কচুয়ায় তথ্য সেবা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।

কচুয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে শারমিন সুলতানা অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।

তার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, শারমিন সুলতানা সম্প্রতি তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করেছে। সে গত কয়েকদিন আমাদের গাজীপুরের বাসায় ও তার স্বামীর বাসায় যায়নি। ফলে আমি তাকে খুঁজতে রোববার কচুয়া কর্মস্থলে এসেছি। তবে দু’একদিনের মধ্যে সে (শারমিন সুলতানা) কর্মস্থলে আসবেন বলে তার সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে সে কোথায় আছে তা জানি না।

কচুয়া তথ্য সেবা সহকারী নাদিয়া সুলতানা জানান, শারমিন সুলতানা আপা অসুস্থতার কথা জানিয়ে অফিস থেকে বাসায় গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হঠাৎ তিনি অফিসের টিএনটিতে ফোন দিয়ে অফিসের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। কিন্তু কোথায় আছেন, তার কিছুই বলেননি।

জানা গেছে, কচুয়া তথ্য সেবা কর্মকর্তা (তথ্য আপা) শারমিন সুলতানা কচুয়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কোয়ামিতা ভবনে দ্বিতীয় তলায় তথ্য কেন্দ্রের ভাড়া অফিসে কাজ-কর্ম করতেন এবং অফিসের পাশেই ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু কী কারণে তিনি অফিসে নেই তার কারণ জানাতে পারেননি অন্য সহকর্মীরা।

মিতা ভিলার মালিক স্বপন কুমার জানান, তথ্য আপা আমার ভবনে অফিস ও বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন আছেন। কিন্তু আমরা তার অনুপস্থিতির বিষয়ে কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ণ দাস শুভ জানান, শারমিন সুলতানা অনুপস্থিতির বিষয়ে আমার কাছ থেকে কোনো ছুটি নেননি। তবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। রোববার শারমিন সুলতানা তার নিজ বাসায় যাননি বলে তার বাবা আমাকে এসে জানিয়েছেন।

এ দিকে কচুয়া তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন মেয়ের খোঁজ নিতে রোববার কচুয়ায় এসে তাকে (মেয়েকে) না পেয়ে সোমবার গাজীপুরে ফিরে গেছেন। অপর দিকে তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার ব্যবহৃত মোবাইলে বক্তব্য জানতে বারবার চেষ্টা করেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

জিসান আহমেদ নান্নু

Share