চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সড়কের কাজ শেষ না করেই পালিয়েছে ঠিকাদার। প্রথমে তড়িৎগতিতে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে কাজ শেষ করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এরপর থেকেই কাজ বন্ধ কেরে দেন ঠিকাদার । বর্তমানে সড়কটির কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের কংগাইশ রেল লাইন ভায়া হাড়িয়াইন সড়কটি দীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ কাজ বন্ধ।
জানা যায়, ২০১৯-২০ সালের অর্থ বছরের বাজেটে কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে সড়কটি নির্মানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় (এলজিইডি) একনেকে পাশ করে। পরে এলজিইডি প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের কাজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করেন। কংগাইশ-হাড়িয়াইন ১ কিলোমিটার সড়কের কাজ করতে ঠিকাদার নিযোক্ত হন উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের আব্দুল কাদের। এ কাজটি শুরুর কথা ছিলো গেলো বছরের ১ জানুয়ারী। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করেন ২০২০ সালের শেষে। তিনি কিছুটা দেরি করে সড়কের কাজ শুরু করলেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একপর্যায়ে নি¤œমানের ইট (খোয়া) সড়কটির কাজে ব্যবহার করতে চাইলে বাধা দেন স্থানীয় লোকজন। নি¤œমানের কাজে বাঁধা দেওয়ার পরের দিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজে আর হাত দেননি। তারা দির্ঘ ৪ মাস কাজটি পেলে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন চলাচল কারীরা। বর্ষার শুরু হওয়ার পূর্বে সড়কটির কাজ শেষ না হলে মহা-বিপদে পড়বে পথচারীরা।
এ প্রসঙ্গে কাজের ঠিকাদার আব্দুল কাদেরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে কাজ চালু করতে পারেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খোয়াগুলো সরিয়ে ফেলবো এবং ১০/১২ দিন পরে সড়কের কাজ পুনরায় চালু করবো।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহেদ জানান, নি¤œমান মালামাল সরিয়ে পুনরায় কাজ চালু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এরইমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ নিম্নমানের কাজ
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ১১ মার্চ ২০২১