Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে অনুমোদনবিহীন বিষাক্ত মশার কয়েল
হাজীগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে অনুমোদনবিহীন বিষাক্ত মশার কয়েল
প্রতীকী

হাজীগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে অনুমোদনবিহীন বিষাক্ত মশার কয়েল

জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) :

এখন বর্ষার সময়। এ সময় বেশিরভাগ সময় মশা বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের গাছ-গাছালির লতাপাতা বৃষ্টির মাঝে খানাখন্দে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়ে মশা জন্মায়, যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে।

হাজীগঞ্জ পৌরসভায় গত ক’বছর ধরে মশা নিধনের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় মশার উপদ্রব দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সুযোগে দেশের বিভাগীয় জেলা থেকে কিছু অখ্যাত কোম্পানী সুযোগ বুঝে মার্কেটে বাজারজাত করে আসছে নামে-বেনামে মশার কয়েল।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব কয়েলের প্যাকেটে বিএসটিআই’র ঢ্রেডমার্কও নেই, কয়েলের গুণগত মান দেখে প্রশ্ন জাগে কীভাবে এ ক্ষতিকর বিষ বাজারজাত করে আসছে এসব বিষাক্ত মশার কয়েল কোম্পানিগুলো।

বিএসটিআই’র নিয়ম অনুযায়ী একটি কয়েলে ১০% অ্যানডিন দেয়ার কথা, অথচ এসব আজেবাজে কয়েলে অ্যানডিনের মাত্রা রয়েছে প্রায় ৩০/৩৫%,যা মানবদেহের জন্যে খুব ক্ষতিকর পদার্থ হিসেবে বিবেচিত।

এ বিষাক্ত কয়েল থেকে এখনই সাধারণ মানুষ সাবধান না হলে পরবর্তীতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রোগব্যাধি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

হাজীগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলোতে বর্তমানে এসব ক্ষতিকর মশার কয়েলের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, ভৈরব থেকে তৈরিকৃত কয়েলের নাম হচ্ছে আবেদীন বম বম, পুরাণ ঢাকা থেকে তৈরিকৃত কয়েলের নাম হচ্ছে সেভেন বুস্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে তৈরিকৃত কয়েল তুলশীপাতাসহ বেশ কিছু অনুমোদনবিহীন মশার কয়েল উল্লেখযোগ্য। সেই সাথে চায়না নামীয় কয়েলের ক্ষতিকর দিক নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ জনগণ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে। এসকল আজেবাজের কয়েলের দাপটের কাছে চাপা পড়ে গেছে মরটিন, এসিআই, গ্লোব, স্টপ জাম্বোর মতো বিএসটিআই’র অনুমোদনকৃত নামীদামী কোম্পানীর বাজারজাতকৃত মশার কয়েল। যা ব্যবহারে তেমন কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই বলে জানা যায়। অথচ সাধারণ মানুষ না বুঝেই বেশি দাম দিয়ে ক্ষতিকর বিষ জ্বালিয়ে পরিবারের সকলকে অসুস্থতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

হাজীগঞ্জ বাজারের ক’জন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সময়ে কিছু ক্রেতা ভালো জিনিসের তুলনায় খারাপটাই বেশি গ্রহণ করে। তবে বাজারে সেভেন বুস্টার, তুলশীপাতার মতো মশার কয়েল জ্বালালে মানুষ বিশেষ করে শিশুদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বলে ক’জন ক্রেতা জানান।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা আগে পত্রিকার মাধ্যমে ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে মানুষের মাঝে জনসচেনতা বৃদ্ধি করুন, আমরা অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অনুমোদনবিহীন ক্ষতিকর কয়েলের বাজারজাত নিয়ম-নীতি দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ০৮:৫০ অপরাহ্ন, ২০ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, শনিবার ০৪ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ

 চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কমপ্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি