Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে অবৈধভাবে বসা পশুর হাট উচ্ছেদ
হাজীগঞ্জে অবৈধভাবে বসা পশুর হাট উচ্ছেদ

হাজীগঞ্জে অবৈধভাবে বসা পশুর হাট উচ্ছেদ

হাজীগঞ্জে কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে বসা কোরবানীর পশুরহাট উচ্ছেদ করলেন উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৮ আগস্ট) উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবৈধ পুশুর হাট বসানোর খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাট উচ্ছেদ করেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জসিম মুন্সী, জিতু চৌধুরী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন এবং কলেজ পরিচালনা পর্ষদের এক প্রভাবশালী সদস্যসহ কয়েকজন এই অবৈধ পশুরহাট পরিচালনা করছেন। পশু বিক্রির হাসিল বাবদ যে টাকা আয় হবে, তা ধড্ডা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় প্রদান করা হবে।

তবে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য, অধ্যক্ষ, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে কারো নাম বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে জানতে জসিম মুন্সী ও জিতু চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে না পারায়, তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কলেজের পার্শবর্তী ধড্ডা হাফেজিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় শনিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে কলেজ মাঠে পশুরহাট বসায়।

এ সময় হাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক গরু-ছাগল ওঠে এবং পশু বেচা-কেনার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতারা মাঠে উপস্থিত হয়। কলেজের পুরো মাঠ ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে।

খবর পেয়ে বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ এ পশুরহাট ভেঙ্গে দেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামাল উদ্দিন জানান, আমাদের শ্রেণি কার্যক্রম চলাবস্থায় দুপুর ১২টার পর কলেজ মাঠে পশুসহ ক্রেতা ও বিক্রেতারা আসতে থাকে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায়।

পরে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে কে বা কাহারা পশুর হাট বসিয়েছেন, তিনি তাদের নাম বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, কলেজে হাট বসানোর আগে তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন লিটু জানান, তিনি পারিবারিক কাজে বর্তমানে বরিশালে রয়েছেন। কে বা কাহারা কলেজ মাঠে পশুরহাট বসিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন বলেন, বেলা চারটার দিকে ইউএনও স্যার ঘটনাস্থলে এসে পশুরহাট ভেঙ্গে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, অনুমতি না নিয়ে অবৈধ পশুরহাট বসানোর কারনে ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ মাঠের পশুরহাটটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার ২০টি স্থানে কোরবানির পশুরহাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে যেসব স্থানে পশুরহাট বসবে, সেগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হবে।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়

Leave a Reply