হাইমচর

হাইমচর মেঘনায় ইলিশ ধরা শুরু : দু’মাসে ১২৬ জেলের দণ্ড

হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে দু’মাস বিরতির পর সোমবার হতে একযোগে মাছ ধরতে শুরু করবে জেলেরা। ২ মাসে মেঘনায় জাটকা নিধন বিরোধী ৩০ অভিযানে ১২৬ জন জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলার জাটকা নিধন বিরোধী ট্রাক্সফোর্সের এবারের অভিযান বছরের তুলনায় বেশ কঠোর ছিলো।

মৎস্য অধিদপ্তর ১ মার্চ হতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেজান্ডার পর্যন্ত ইলিশ মাছের পোনা জাটকাসহ সব ধরনের মৎস্য শিকার নিষিদ্ধ করেছিল।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা টাক্সফোর্স এ ২ মাসে মেঘনায় জাটকা নিধন বিরোধী ৩০টি অভিযানে ১২৬ জন জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

১২৬ জন সাজা প্রাপ্ত জেলের মধ্যে হাইমচর উপজেলার জেলে ছিল ক’জন, বাকিরা নদীপাড় সংলগ্ন পাশ্ববর্তী জেলার।

লাখ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল আটক করে পুড়ানো হয়েছে। বিপুল সংখ্যক ইলিশ ও জাটকা আটক করে এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

নিবন্ধিত ১৩০৩৩ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। জেলেদের পুনর্বাসনে সেলাই মেশিন, ভ্যান গাড়িসহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করার প্রস্তুতি রয়েছে।

হাইমচর উপজেলা জাটকা নিধন বিরোধী ট্রাক্স ফোর্স সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানে জেলে ও জাল নৌকা আটক হওয়াতে মেঘনার বিশাল এলাকায় জেলেরা নদীতে নামার সাহস পায়নি।

হাইমচরের উত্তর দিকে চাঁদপুর সদর, মতলবসহ বিভিন্ন এলাকা ও হাইমচরের পাশ্ববর্তী শরীয়তপুর লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের অসাধু জেলেরা হাইমচরের সীমানায় এসে মাছ ধরে ট্রাক্স ফোর্সের অভিযানে আটক হয়েছে।

উপজেলা জাটকা নিধন বিরোধী ট্রাক্স ফোর্স ও কোস্টগার্ড এবং নৌ-পুলিশের সমন্বিত অভিযানে অসাধু জেলেদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ায় জাটকা নিধন বিরোধী অভিযান অন্য বছরের তুলনায় সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলেরা।

প্রতিবেদক- বিএম ইসমাইল
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯: ১৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Share