Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / হাইমচরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দ্রুত মেরামত কাজ চলছে
flood

হাইমচরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দ্রুত মেরামত কাজ চলছে

হাইমচরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ অস্থায়ী বাঁধের দুটি স্থান ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়ে পড়ছে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকা। প্রচন্ড গতিতে মেঘনা নদীর পানি সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। হাইমচরে ঔ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে ।

চাঁদপুর জেলা সদরের কিয়দংশ,হাইমচর,ফরিদগঞ্জ এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা নিয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অবস্থান। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় কয়েক হাজার একর জমির ফসল এখন হুমকির মুখে। পূর্ণিমার প্রভাব দু‘দিন আগে কেটে গেলেও হঠাৎ বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণা বাতাস বইতে থাকে। ফুলে-ফেঁপে ওঠে চাঁদপুর মেঘনা।

গতকাল বিকেলে জোয়ার শুরু হলে পানি বাড়তে থাকে। হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের মহজমপুর এবং চর ভাঙ্গা এলাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে অস্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।এসময়ে প্রচন্ড গতিতে সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে মেঘনা নদী থেকে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। উপায়ন্তর না পেয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের খবর দেয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আকষ্মিক এবং অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাইমচর মহজমপুর,চরভাঙ্গা স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে সেচ প্রকল্প এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। ভাঙ্গন এলাকা বাঁধ নির্মাণে আমরা জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বৃহস্পতিবার ৬ আগস্ট দুপুরে আরো বলেন, ‘ ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস আরা , উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী ক্ষতিগ্রস্ত বিকল্পবাঁধ পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে সার্বিক সহযোগিতা করছেন্।’

তিনি আরো বলেন, ‘ ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটুকু’র ২ টো পয়েন্টে ১৮ মিটার বাঁধ জিও টেকসটাইলে বালু ও মাটি বরাট করে ফাইলিং ও বলি করে মেরামতের কাজ চলছে বলে তিনি জানান । এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি’র সাথেও আলোচনা করা হয়েছে ।

চাঁদপুর মোর হেডে নিয়োজিত পানি বোর্ডের সেকশান অফিসার জুয়ের ভূঁইয়া জানান, প্রতিদিন ৪ বার পদ্মা-মেঘনার পানি পরিমাপ করা হয় । সকাল ৬ টায় ,৯ টায় ,দুপুর ১২ টায ,বিকেল ৩ টায় ও সন্ধ্যা ৬ টায় । ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৬ টায় সর্বশেষ পানির উচ্চতা ছিল ৪ দশমিক ৭৯ সে.মি। যা সর্বোচ্চ বিপদসীমার ওপর ।

আজ বৃহস্পতিবার ৬ আগস্ট ছিল ৪ . ৪১ সে.মি । যা বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।

এদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুর জেলা। শহর এবং গ্রামে সর্বত্রই ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পুরো জুড়ে জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এতে হঠাৎ করে চরম বিপাকে পড়েছে গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, চিত্রলেখা মোড়, হাজী মহসিন রোড, চাঁদপুর হাসান আলী স্কুল মাঠ, মিশন রোড, পালপাড়া, ঘোষ পাড়া, নতুন বাজার, গুয়াখোলা প্রফেসর পাড়া কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক স্টান্ড রোড , ট্রাক রোড এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক সহ শহরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা এবং বিভিন্ন সড়কগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়।

আবদুল গনি, ৬ জুলাই ২০২০