সারাদেশ

স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের কাছে গিয়ে লাশ হলো তাহমিনা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের কাছে গিয়ে লাশ হলো তাহমিনা আক্তার (২১)। সে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী আবদুল মমিনের কন্যা।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নিহত গৃহবধূ তাহমিনা আক্তারকে শুশুরবাড়ির লোকজন এ্যাম্বুলেন্সে করে তার বাপের বাড়ির পাশের সড়কে লাশ ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে দাবী করেছেন নিহতের স্বজনরা।

এসময় এলাকাবাসী এ্যাম্বুলেন্স চালককে ধাওয়া করলে লাশের লোকজন সহ এ্যাম্বুলেন্স চালক লাশ এ্যাম্বুলেন্সে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রাত ১০টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী আবদুল মমিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের সাথে গত ৪মাস পূর্বে একই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মনিরের সাথে বিয়ে হয়।

বিয়ের ১দিন পর তাহমিনাকে উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মোঃ নবীর ছেলে রাসেল আহম্মেদ ভাগিয়ে নিয়ে যায়। রবিবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাহমিনা আক্তারের লাশ লাকসাম ফেয়ার হেলথ হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সে (ঢাকা মেট্রো ছ- ৭১১২৬৫) করে তার বাপের বাড়ির পাশের সড়কে লাশ ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী লাশের পরিচয় জানতে চাইলে লাশের সাথের লোকজনসহ এ্যাম্বুলেন্স চালক লাশ এ্যাম্বুলেন্সে রেখে পালিয়ে যায়।

নিহত তাহমিনা মা ছালেহা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি তাহমিনা হত্যার সুষ্ঠ বিচার ও হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই।

এ বিষয় নিহত তাহমিনা স্বামীর বাড়ী শিবপুরের সাবেক মেম্বার নাজির আহম্মদ জানান, আমি শনিবার সন্ধ্যায় রাসেল, তাহমিনা ও রাসেলের বোনকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার যুক্তিখোলা বাজারে সিএনজিতে দেখতে পাই। ওই সময় তারা কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলে রাসেল জানান তার স্ত্রী’র খালার বাড়ী স্থানীয় কেদারদুয়ার গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছেন। পরে রোববার সন্ধ্যায় তাহমিনার খালার বাড়ী থেকে তাহমিনা বিষপানে নিহত হয়েছেন বলে তাদেরকে জানানো হয়।

তিনি আরো বলেন কথিত প্রেমিক রাসেলের চাচী তাহমিনার ফুফু হওয়ার সুবাদে রাসেল ও তাহমিনার মাঝে প্রেমের সর্ম্পক হয়। যার ফলে তাহমিনাকে বিয়ে দেয়ার পর রাসেলের নিকট চলে আসে।

তবে রাসেলের বাড়ীর পাশের চা দোকানদার আব্দুর রহিম জানান, রাসেল শনিবার রাত ৯টায় আমার দোকানে এসেছে এবং চা পান করেছে।

এব্যাপারে তাহমিনা স্বামী রাসেল আহম্মেদের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার স্বজনরা রাসেলের নাম্বার দিতেও সম্মত হয়নি।

রাসেলের বাবা স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. নবীর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গৃহবধূ তাহমিনা মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করলে পুলিশ রাত ১০টায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাঙ্গলকোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ইয়াছিন জানান, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে।’

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১ : ০০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Share