Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এম এ ওয়াদুদকে সংবর্ধনা
Sangshad comander

চাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এম এ ওয়াদুদকে সংবর্ধনা

ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আমন্ত্রনে দুই দিনব্যাপী সেমিনারে যোগদান এবং ত্রিপুরার রাজ্যপাল, স্পীকার, বাংলাদেশ মিশন, ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহে পরিদর্শনকালে দ্বি-পাক্ষিক মতবিনিময় করে ফিরে আসা বীর মুক্তিযোদাধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

সংবর্ধিত অতিথিরা হলো চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) মহসীন পাঠান, সহকারি কমান্ডার (সাহিত্য ও সংস্কৃতি) মৃনাল কান্তি সাহা।

গতকাল ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুজাতপুর ডিগ্রী কলেজের আয়োজনে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, কলেজ শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সুজাতপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র প্রভাষক নিজাম উদ্দিন ও প্রভাষক শোপালী আক্তারের পরিচালনায় সংবর্ধনা অতিথি হিসেবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও সুজাতপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ বলেন, আমরা যুদ্ধা করেছি বঙ্গবন্ধুর আদেশে। সশ¯্রবাহিনী বাহিনী হিসেবে বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনী যুদ্ধে অংশ নেয়। বঙ্গবন্ধু ৭মার্চের ভাষনে যুদ্ধের মূল নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন তোমাদের যার যা কিছু আসে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। ২৫মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা পাখির মতো গুলি করে বাঙ্গালীদের হত্যা করে। তখন পুলিশ ও ইপিইসহ সকল বাহিনী অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, ৭মার্চের ভাষনের পর আমি মতলবে গিয়ে অস্টম ও নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করি। সেস সময় ফ্লাঃ লেঃ এ বি সিদ্দিক আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। তখন আমি ছুটিতে ছিলাম তার জন্য আমি সহজেই যুদ্ধে যেতে পেড়েছি। আমি যখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে সভা-সমাবেশ করি তখন যুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধশেষে বলেছিলেন যে যেখানে যুদ্ধ করেছে সে সেই এলাকাতে চলে যেতে। তাই আমি চাঁদপুরে চলে আসি।

যুদ্ধে আমি যে জন্য আহত হয়েছি তা হলো স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সব মুক্তিযোদ্ধারা অংশ গ্রহন করেছে তার মধ্যে ৯৭ভাগ গ্রামের মানুষরাই যুদ্ধে গিয়েছিলো। তারা বন্ধুক দেখেনি। বাঁশের লাঠি দিয়ে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলো। সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধা একে অপরের পরিপুরক। কেননা যুদ্ধের সময় এই সাধারণ মানুষরাই আমাদের সহযোগিতা করেছিলো। আমরা ভরতের মেলাঘর, হাতিমারা, অম্পিনগর, দেড়াদুলসহ বিভিন্নস্থানে ট্রেনিং নিয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধারা। আর আমরা সেই স্থানেই আবারো ঘুরে এলাম।

সংবর্ধনা অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) মহসীন পাঠান ও সহকারি কমান্ডার (সাহিত্য ও সংস্কৃতি) মৃনাল কান্তি সাহা।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারি কমান্ডার (দপ্তর) মো. ইয়াকুব আলী, চাঁদপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবুল কালাম চিশতী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুজাতপুর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সুনিল চন্দ্র সরকার, সুব্রত দাস, অরুন চন্দ্র সরকার, মোরশেদ আলম, মো. আতাউল্লাহ, সিনিয়র প্রভাষক হেলেনা আক্তার, ইব্রাহীম হোসেন, ওমর ফারুক, বোরহান উদ্দিন, অমিত সিংহ, শাহিন খান প্রমুখ।

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৩৩ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply