চাঁদপুরবাসীর স্বপ্নের মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণ হচ্ছে

মেঘনা নদীর ওপর স্বপ্নের মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সেতু নির্মাণে সয়েল টেস্ট, ভূতাত্ত্বিক পরীক্ষা, সেতুর ডিজাইন, পরিবীক্ষণ, তদারকি উপদেষ্টা ফার্মের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। ১৪৮০ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতু নির্মাণে ব্যয়ে ৪০০ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণ ও আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণে আরও ৫০ কোটি টাকা বরাদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে সেতু মন্ত্রণালয়ে।

মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে শুধু চাঁদপুরই নয়, সড়কপথে বৃহত্তর নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দ্রুত সময়ে ঢাকা, সিলেটে পৌঁছাতে পারবেন। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়কপথে চাঁদপুরের সময়ের দূরত্ব কমে আসবে প্রায় পৌনে ১ঘন্টা।

চাঁদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হলো। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের অংশবিশেষ ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ও গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অংশবিশেষ মেঘনা নদীর ওপর এ সেতু নির্মাণ করা হবে।

মতলব ও গজারিয়ার মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে শুধু চাঁদপুরই নয়, সড়কপথে বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দ্রুত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সিলেটে পেঁৗছাতে পারবেন।

সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এটি নির্মাণে পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর স্তানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪৮০ মিটার দৈঘর্যর সেতুটি নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণ ও আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণে আরও ৫০ কোটি টাকার বরাদ্ধের প্রস্তাব দেওয়া হয় সেতু মন্ত্রণালয়ে।

সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট ভূতাত্ত্বিক পরীক্ষা, সেতুর ডিজাইন, পরিবীক্ষণ, তদারকি উপদেষ্টা ফার্মের প্রার্থমিক কাজ শেষ হয়েছে।

মতলবের সুধীমহলের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাড. নুরুল আমিন জানান, অনেক বছর ধরে মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এখন এটির বাস্তবায়নের পথে। এজন্য তিনি আনন্দিত।

মতলব প্রতিনিধি

Share