Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় তালাকের ২৮ দিনে অবৈধ সংসার : স্বামী-স্ত্রী আটক
Arrest
প্রতীকী ছবি

কচুয়ায় তালাকের ২৮ দিনে অবৈধ সংসার : স্বামী-স্ত্রী আটক

চাঁদপুর কচুয়ায় তালাকের ২৮ দিন পর অবৈধ সংসার করায় রমিজ উদ্দিন (২২) ও খাদিজা বেগম (২১) কে আটক করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। শনিবার রাত ৮টায় কচুয়া উপজেলার শাহ নেওয়াত হাইস্কুলের উত্তর পাশে ভাড়া বাসা থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটককৃতরা হলেন রমিজ উদ্দিন কচুয়া উপজেলার নাওপুরা গ্রামের পাল বাড়ির মো. শাহ আলমের ছেলে এবং খাদিজা বেগম হাজীগঞ্জ উপজেলার দোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. কবির হোসেনের মেয়ে।

রমিউদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে হাজীগঞ্জ উপজেলার দোয়ালিয়া গ্রামের কবির হোসেনের প্রথম স্ত্রী আমেনা বেগমের মেয়ে খাদিজার সাথে শাহ আলমের ছেলে রমিজ উদ্দিনের ৬ লাখ টাকার দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর মধ্যে রমিজ এবং খাদিজার মনোমালিন্য হলে বিচার শালিশের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ৬ লাখ টাকার কাবিনে ২ লাখ টাকা উসূল বাদ দিয়ে ৪লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ আদায় এবং খাদিজার বিবাহের উপটোকন হিসেবে পাওয়া ফার্ণিচার ফিরিয়ে দেয় রমিজের বাবা শাহ আলম। তালাকের পরও খাদিজা রমিজের সাথে যোগাযোগ রাখে।

বিবাহ বিচ্ছেদের পর সোমবার রমিজ উদ্দিনকে অন্যত্রে বিয়ে করার তার পরিবার। বিয়ের একদিন পর রমিজ বাড়ি থেকে উধাও। মঙ্গলবার মা আমেনা বেগমের সহায়তায় খাজিদা রমিজকে আবারো ৫লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে করে অবৈধ ৫দিন যাবৎ সংসার করে।

স্থানীয় যুবকদের সন্দেহ হলে তারা রমিজ ও খাদিজাকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। এ ঘটনায় রমিজ উদ্দিনের পিতা শাহ আলম বাদী হয়ে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

জানায় যায়, খাদিজার বাবা কবির হোসেন একাধিক বিয়ে করে। প্রায় ৪ বছর পূর্বে হাজীগঞ্জের আলীগঞ্জ ডিএম ভবনের ভাড়াটিয়া ঔষধ কোম্পানির রিপটেজিপ এর সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কবিরে হোসেনে একাধিক স্ত্রী রয়েছে বলে জানা যায়। খাদিজা রমিজ উদ্দিনকে বিয়ে করে এক বছর খানেক পর তালাক দিয়ে ৪লাখ ১০ হাজার টাকা আদায় করে। তালাকের ঠিক ২৮দিন পর আবারো ৫ লক্ষ টাকার কাবিনের বিনিময়ে বিয়ে করে। বিয়ে নিয়ে প্রতারণা এবং তালাকের টাকা খাদিজার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

শাহ আলম বলেন, আমার ছেলেকে তালাক দিয়ে ৪লাখ ১০ হাজার টাকা পেয়েছে। আবারো টাকার লোভে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাবিন করে নেয়। এটাও এক ধরণের ব্যবসা। আমি বাদী হয়ে অভিযোগ করেছি।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়