Home / জাতীয় / সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী

সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় ইউএস বাংলার এক ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছান। তাঁর সঙ্গে সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এমরান আহমদ।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ গণজমায়েতের ডাক দেওয়া হয়। আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাঁদের মূল দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ। এই দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষামন্ত্রীর সরকারি সফর সূচি অনুসারে জানা গেছে, তিনি সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করে হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারত শেষ করে সিলেট সার্কিট হাউসে যাবেন।

এরপর বিকেল ৩টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে সিলেট সার্কিট হাউস ত্যাগ করেবেন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শাবিপ্রবির চলমান সংকট সমাধানের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে রাত ৮টা ২০ মিনিটে একটি ফ্লাইটে করে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

গত ২৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও শিক্ষার্থী সংক্রান্ত ৪০ টিরও বেশি সমস্যা চিহ্নিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা বলতে শাবিপ্রবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়। ছাত্রলীগের হামলার পর দাবি আদায়ের জন্য উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে উপাচার্যকে উদ্ধার করে। এরপর থেকেই উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। টানা ১৬৩ ঘণ্টা অনশনের পর তা প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।