Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / সংসার ভেঙে প্রেমে মজেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা!
rape
ফাইল ছবি

সংসার ভেঙে প্রেমে মজেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা!

ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে গিয়ে প্রেমে মজেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। কপাল পুড়েছে দুই সন্তানের। ঘর ভেঙ্গেছে প্রবাসীর। বড় মেয়ের ছয় বছর, ছেলের তিন বছর বয়স।

ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার আলীগঞ্জ এলাকার।

জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার শাখী আলীগঞ্জ মারওয়ান বাড়ির শাহনেওয়াজ মারওয়ানের মেয়ে। শনিবার(২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের শাখীর দ্বিতীয় স্বামীসহ পরিবারে কাছে ধরাশায়ী হয়।

দ্বিতীয় স্বামী আলীগঞ্জ মজুমদার বাড়ির জুয়েল হোসেন মজুমদার আলীগঞ্জ হাই স্কুলের শিক্ষক। ২০১৯ সালের শুরুতেই শাখী একই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে গিয়ে তারা পরকীয়া প্রেমে মজেছেন।

শিখার প্রথম স্বামী কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জিসান আহমেদ । ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ হয়।

শাখীর মা ফারজানা বেগম ঝর্ণা বলেন, গত ১৮ নভেম্বর সোমবার সকাল সাতটায় প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বাসায় না ফিরলে খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি। ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাখীর সাথে জুয়েলকে মকিমাবাদ এলাকায় দেখা গেছে।

শাখীর প্রথম স্বামী জিসান আহমেদ জানান, সে যাওয়ার সময় প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণ ও তার কাছে গচ্ছিত নগদ ৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমি থানায়় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর পূর্বেও ১৪ নভেম্বর বাসা থেকে বেরিয়ে যায় শাখী। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর আজাদ ও মামা হাছানের সহযোগিতায়় উদ্ধার করে।

দ্বিতীয় স্বামী জুয়েল হোসেন মজুমদার বলেন, গত ১৯ নভেম্বর চাঁদপুরে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। তার প্রথম স্বামী শাখীর উপর শারিরীক নির্যাতন চালাতো। পরিত্রাণ পেতে সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শাখীর মামা হাছান বলেন, শাখীর সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি মানতে পারছি না। ভাগ্নি শাখীকে মারধরের বিষয়ে আমাদের পরিবারের কারো জানা নেই।

প্রতিবেদক:মনিরুজ্জামান বাবলু,২৪ নভেম্বর ২০১৯